ধলাই ডেস্ক: টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে হাসপাতালে নেয়ার সময় করোনার উপসর্গ নিয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এরপর মরদেহ সড়কে ফেলে চলে যায় বহনকারী অটোরিকশা চালক। প্রথমে সৎকারে কেউ এগিয়ে না আসেনি। পরে প্রশাসন সহযোগিতায় বিকেলে তার দাহ সম্পন্ন হয়।
শুক্রবার কালিহাতী পৌরসভার উত্তর চামুরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
১০ দিন ধরে ঠান্ডা-জ্বরে ভুগছিলেন। শুক্রবার সকালে অটোরিকশা যোগে হাসপাতালে নেয়ার পথেই তিনি মারা যান। অটো চালক রাস্তার পাশে ফেলে গেলে স্ত্রী ছাড়া কেউ প্রথমে মরদেহের কাছে আসেনি। পরে বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়।
মৃতের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামীকে কয়েকদিন আগে হাসপাতালে ভর্তিও করেছিলাম। বাড়িতে নিয়ে আসার ঠান্ডা জ্বর ও কাশিতে সকালে মারা যান।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনামুল হক বলেন, যখন জানতে পারলাম করোনার ভয়ে গ্রামের কেউ সৎকারে এগিয়ে আসছে না, তখন পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় লাশ সৎকারের ব্যবস্থা করা হয়।
এ বিষয়ে কালিহাতী থানার ওসি হাসান আল মামুন বলেন, ওই ব্যক্তি করোনায় মারা গেছেন এই ভয়ে আত্মীয় স্বজনেরা কেউ সৎকারে এগিয়ে আসছে না, এমন খবর পাওয়া মাত্রই এসআই হেলাল মাহমুদকে সেখানে পাঠাই। পরে স্থানীয় লোকজন এবং ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপজেলা কমিটির সহযোগিতায় মরদেহ দাহ করা হয়।
করোনাভাইরাসে মৃতদের দাফন সংক্রান্ত ইসলামী ফাউন্ডেশনের কালিহাতী কমিটির লিডার মওলানা মোহাম্মদ আবু হানিফ বলেন, মরদেহ দীর্ঘ সময় সড়কে পড়ে ছিল। পুলিশ ও আমরা সেখানে উপস্থিত হই। পরে স্থানীয় হিন্দু লোকজন এগিয়ে আসে। তারপর শ্মশানঘাটে মরদেহ দাহ করার ব্যবস্থা করি।
কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাইদুর রহমান বলেন, মৃত ব্যক্তির করোনা হয়েছিল কি না সেই পরীক্ষা করার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।