ধলাই ডেস্ক: সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা. তউহীদ আহমদ কল্লোলের বদলির পরের দিনই শুরু হয়েছে অনিয়ম ও দুর্নীতি। সিভিল সার্জন কল্লোল দায়িত্ব ছাড়ার ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন হাসপাতালের নার্স রহিমা বেগম ও ওয়ার্ড বয় সোহাগ মিয়া। নতুন ২৫০ শয্যা সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের ব্যবহৃত জিনিসপত্র পাচারের সময় ধরা পড়েন তারা।
এসব জিনিসপত্র নার্স রহিমা বাইরে রেখে আসতে বলেছেন বলে জানান সোহাগ। এ সময় নার্স রহিমা বেগম বাইরে এসে অ্যাম্বুলেন্স চালক ও স্থানীয়দের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান। একই সঙ্গে সরকারি জিনিসপত্র কোথায় নিচ্ছি আপনাদের বলতে বাধ্য নই বলে জানিয়ে দেন নার্স রহিমা বেগম।
অ্যাম্বুলেন্স চালক মো. পারভেজ মিয়া বলেন, বিকেলে গাড়ির পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলাম আমরা। হঠাৎ দেখি হাসপাতালের বালিশ, কম্বল ও বেড-শিট চুরি করে নিয়ে যাচ্ছেন ওয়ার্ড বয় সোহাগ। এ সময় তাকে আটকে জিজ্ঞাসা করি এসব জিনিস কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন। তখন সোহাগ ফোন দিলে নার্স রহিমা এসে আমাদের বকাঝকা শুরু করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী অ্যাম্বুলেন্স চালক রুবেল আহমদ বলেন, ওই ছেলেকে জিজ্ঞেস করলে উত্তর দেয় সরকারি হাসপাতালের জিনিসপত্র বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছি। সরকারি জিনিসপত্র বাড়িতে নেয়ার অনুমতি কে দিয়েছে জানতে চাইলে নার্স রহিমার কথা জানায়। এ সময় নার্স এসে বলেন এসব জিনিসপত্র এসপির বাংলোয় পাঠাব নাকি আমার বাড়িতে পাঠাব তোমাদের জানার কি দরকার।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাকে স্থানীয়রা বিষয়টি জানিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে এসব জিনিসপত্র ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। আগামীকাল নার্সদের নিয়ে বিষয়টি তদন্ত করব আমরা।
এ ব্যাপারে হাসাপাতালের ডেপুটি সিভিল সার্জন আশরাফুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। যদি এমন কিছু হয় তাহলে সেটি অন্যায় এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। খোঁজ নিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের ডিও লেটারের সুপারিশের মাধ্যমে বদলি আদেশ পেয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. তউহীদ আহমদ কল্লোল। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় ২০ দিনের মাথায় সিভিল সার্জন কল্লোলকে বদলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তার বদলির ২৪ ঘণ্টা না যেতেই এমন ঘটনা ঘটালেন নার্স রহিমা।