ধলাই ডেস্ক: পুরান ঢাকার হোসনি দালানে গভীর রাতে তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির বোমা হামলার ঘটনায় জেএমবির দুইজনের কারাদণ্ড ও ছয়জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ আদেশ দেন।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আবু সাঈদ ওরফে সালমান, রুবেল ইসলাম ওরফে সুমন ওরফে সজীব, চান মিয়া, ওমর ফারুক, হাফেজ আহসান উল্লাহ মাহমুদ ও শাহজালালকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, সকাল ১১টা ২৩ মিনিটে আসামিদের আদালতে তোলা হয়। গত ১ মার্চ এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ট্রাইব্যুনাল রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
অভিযোগপত্রভুক্ত ৮ আসামি হলেন- কবীর হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আসিফ, আবু সাঈদ ওরফে সালমান, আরমান ওরফে মনির, রুবেল ইসলাম ওরফে সুমন ওরফে সজীব, চান মিয়া, ওমর ফারুক, হাফেজ আহসান উল্লাহ মাহমুদ ও শাহজালাল। আসামিদের মধ্যে আরমান, রুবেল ও কবির আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আসামিরা সবাই জেএমবির সদস্য।
২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর রাতে হোসনি দালান এলাকায় তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) জঙ্গিরা বোমা হামলা চালায়।
এ ঘটনায় রাজধানীর চকবাজার থানায় এসআই জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। প্রথমে মামলাটি চকবাজার থানা-পুলিশ তদন্ত করে। পরে এর তদন্তভার ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়। তদন্ত শেষে ডিবি দক্ষিণের পুলিশ পরিদর্শক মো. শফিউদ্দিন শেখ ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে ১০ জঙ্গিকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এরপর মামলাটি ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করা হয়। ২০১৭ সালের ৩১ মে ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর পর ঐ আদালতে মামলার বাদী মো. জালাল উদ্দিন সাক্ষ্য দেন।
এরপর ২০১৮ সালের ১৪ মে মামলাটি সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বদলি হয়। মামলাটি বদলি হওয়ার পর থেকে গতি পায়। ট্রাইব্যুনালে আসার পর ১০ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়। এরই মাঝে অভিযোগপত্র ১০ আসামির মধ্যে জাহিদ হাসান ও মাসুদ রানার পক্ষে তাদের আইনজীবীরা আদালতে দাবি করেন ঐ আসামিরা নাবালক। এর স্বপক্ষে জন্মসনদ ও পরীক্ষার সনদ জমা দেওয়া হয় ট্রাইব্যুনালে। আদালত সব কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাদের শিশু হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
পরে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা আইন অনুযায়ী ঐ দুই আসামিকে শিশু হিসেবে আখ্যায়িত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর বিচারের জন্য সম্পূরক অভিযোগপত্র নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।