ডেস্ক রিপোর্ট: এবার হ্রদের মাটি খুঁড়ে বের করা হলো শতাব্দী প্রাচীন দুটি মূর্তি। ভারতের কর্নাটকের মাইসুরু থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে আরাসিনাকেরে এলাকায় একটি হ্রদে এ মূর্তি দুটি পাওয়া গেছে। পাথরে খোদাই করা মূর্তিগুলো শিবের সহচর নন্দীর মূর্তি বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভারতের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বলা হচ্ছে, ওই হ্রদে দুটি বড় বড় নন্দীর মূর্তি রয়েছে -এমন তথ্য স্থায়ী প্রবীণরা জানতেন। হ্রদের পানির স্তর কমে গেলে মূর্তি দুটি দেখা যেত। তবে বাকি অংশ মাটির নিচেই থাকত। মাইসুরুর রাজা জয়চামারাজা ওয়াদিয়ারবার বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেছেন মূর্তিগুলোকে মাটি খুঁড়ে বের করতে। তবে খনন কাজ শেষ হওয়ার আগেই গর্তটি আবার পানিতে ভরে যায়। ফলে খনন কাজ আর শেষ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
তবে এবার চারদিনের চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত সোমবার (১৫ জুলাই) বিশাল আকৃতির এ মূর্তিগুলো বের করা সম্ভব হয়েছে। খনন কাজ শেষে পুরাতত্ত্ববিদ এমএল গৌড়া জানান, মূর্তিগুলো ১৬ বা ১৭ শতকের।
তিনি আরও বলেন, একটি পাথর থেকে একটি মূর্তি তৈরি করা হয়েছে। বড় মূর্তিটি দৈর্ঘ্যে ১৫ ফুট ও উচ্চতায় ১২ ফুট। তবে মূর্তিগুলো সম্পূর্ণ নয়। একটি মূর্তি ৬০ শতাংশ ও অন্যটি ৮৫ শতাংশ খোদাই করা হয়েছে।