১৪ জুলাই থেকে ৩২৮ পৌরসভায় সব ধরনের নাগরিক সেবা বন্ধ

প্রকাশিত: ১০:১১ অপরাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০১৯

ডেস্ক রিপোর্ট: আগামী ১৪ জুলাই থেকে দেশের ৩২৮টি পৌরসভায় সব ধরনের নাগরিক সেবা বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা ও পেনশন প্রদানের ঘোষণা দেয়া না হলে তারা আগামী ১৪ জুলাই থেকে লাগাতার আন্দোলনে যাবেন।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পৌরসভা সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে বগুড়া থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান বগুড়া জেলা কমিটির সভাপতি মামুনুর রশিদ।

তিনি বলেন, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী দেশের সব পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী আগামী ১৪ জুলাই ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। ফলে তাদের পক্ষে স্ব-স্ব কর্মস্থলে অবস্থান করা সম্ভব হবে না এবং নাগরিক সেবা প্রদান করাও সম্ভব হবে না। ঢাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে শুধু পাইপ লাইনে পানি সরবরাহ চালু রাখা হবে।

রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে জনপ্রতিনিধিদের সম্মানি ভাতা এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানের দাবিতে তারা প্রায় দুই বছর ধরে আন্দোলন করে আসছেন বলেও জানান মামুনুর রশিদ।

আন্দোলনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে মামুনুর রশিদ বলেন, দেশের সংবিধান অনুযায়ী পৌরসভা রাষ্ট্রীয় তথা সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং তাতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। শহর কেন্দ্রিক অবকাঠামো উন্নয়ন, পরিচ্ছন্নতা, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, পয়ঃনিষ্কাশন, সড়ক আলোকিত করা এবং বিভিন্ন সনদ প্রদান ও নিববন্ধনসহ অন্তত ২০ ধরনের সেবা নাগরিকদের দিয়ে থাকে।

আইন অনুযায়ী, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে পৌরসভার নিজস্ব আয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানের বিধান থাকলেও দেশের ৯০ ভাগ পৌরসভার পর্যাপ্ত আয় বা রাজস্ব না থাকায় বর্তমানে স্থান ভেদে ৩ থেকে ৬৬ মাস পর্যন্ত বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে। এ জেলার ১২টি পৌরসভার মধ্যে শুধু বগুড়া পৌরসভা ছাড়া বাকি ১১টিতেই দীর্ঘদিন ধরে বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে।

পৌরসভা সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বগুড়া জেলা শাখার উপদেষ্টা ও বগুড়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, স্থানীয় সরকারের অধীন অপর দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার ৭৫ ভাগ এবং জেলা পরিষদের জন্য শতভাগ বেতন-ভাতা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে মেটানো হয়। বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন শুধু পৌর কর্মচারীরা।