১ আগস্ট থেকে ২৪ ঘণ্টা খোলা সিএনজি স্টেশন

প্রকাশিত: ৫:১৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩০, ২০১৯

ডেস্ক রিপোর্ট: ১ আগস্ট থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সিএনজি স্টেশন ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সচিব এ কথা জানান। এ বিষয়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে।

গ্যাসের উৎপাদন বাড়ায় গ্যাস সংক্রান্ত সমস্যাগুলো অনেকটা কেটে গেছে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘সক্ষমতা বাড়ার কারণে, ঘাটতি কেটে ওঠার কারণে আমরা যেটা করেছি তা হলো নতুন গ্যাস সংযোগ, পুরনো গ্যাসের লোড বৃদ্ধি ইত্যাদিতে উদারভাবে কার্যক্রম গ্রহণ করে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘আগে সিএনজি স্টেশন ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকত না। গ্যাস সংকট কেটে যাওয়ায় আমরা সেই নিষেধাজ্ঞাটা উঠিয়ে নিচ্ছি। এখন ১ আগস্ট থেকে সিএনজি স্টেশনগুলো ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকবে, গ্যাস দিতে কোন বাধা থাকবে না।’

‘পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। আবার যখন সমস্যা দেখা দেবে তখন দেখা যাবে। ইনশাল্লাহ এটা কন্টিনিউ করতে পারব।’

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব বলেন, ‘কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের গ্যাসের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য, কিছু কিছু ক্ষেত্রে নীতিগত কারণে সংযোগ দিতে অপারগ হব। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সংযোগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেব।’

আবু হেনা মো. রহাতুল মুনিম বলেন, ‘এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি নিয়ে একটি গাইডলাইন আমরা জারি করেছি। আমরা শিল্পকে অগ্রাধিকার দিতে চাই, সার কারখানাকে অগ্রাধিকার দিতে চাই। আবাসিক খাতে সংযোগ আগে থেকেই বন্ধ করে দেয়া আছে, সেই এখনও রাখতে চাই। সিএনজিতেও বন্ধ রাখতে চাই, ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান্টেও আমরা নিরুৎসাহিত করতে চাই।’

‘যেখানে বিকল্প জ্বালানির সংস্থান আছে সেখানে ডলার দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে জ্বালানি এনে সেটা আমরা দিতে চাচ্ছি না। হিসাব-নিকাশ করে দিতে হবে। কারণ এতে যদি জ্বালানির চাহিদা আরও বাড়তে থাকে তখন দেখা যাবে, যার বিকল্প সংস্থান নেই, তার চাহিদা আমরা পূরণ করতে পারছি না। গ্যাসের দামও তখন বেড়ে যাবে।’

শিল্পের নতুন গ্যাস সংযোগ ও লোড বৃদ্ধি দুটোই সরকারের কাছে অগ্রাধিকার পাচ্ছে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘শিল্পের গ্যাস সংযোগে আপনারা যদি বাধার সম্মুখীন হন, এখনও প্রতারণ চক্র সক্রিয় থাকতে পারবে। নানাভাবে বুঝাতে পারে সংযোগ পেতে সমস্যা আছে, কিন্তু বলব শিল্পে সংযোগ পেতে আপাতত কোন সমস্যা নেই।’

তিনি বলেন, ‘সিএনজির বিকল্প আছে, বিকল্প হলো এলপি গ্যাস চলে আসছে। আমরা সিএনজিতে গ্যাস সংযোগ নিরুৎসাহিত করতে চাই। তবে ইতোপূর্বে জ্বালানি উপদেষ্টা নেতৃত্বে একটি কমিটি ছিল। সেই কমিটি থেকে যে সব সিএনজি ফিলিং স্টেশনকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে এবং যারা ডিমান্ড নোটের টাকা জমা দিয়েছে, তাদের তো এখন বলতে পারি না গ্যাস দেব না।’

‘তাদের আরেকটু বুঝাইতে বলেছি যে, সিএনজি ব্যবসা আর বেশিদিন চলবে না। কারণ অটোগ্যাস (এলপি) সিএনজির চেয়ে বেশি ভালো, বেশি সুবিধাজনক জ্বালানি।’

বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে ২০০৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মোট পৌনে ৩ লাখের মতো প্রিপেইড মিটার সংযোগ দেয়া হয়েছে জানিয়ে জ্বালানি সচিব বলেন, ‘এটি আমাদের ব্যর্থতা ধরেন আর অবহেলা যেটাই ধরেন না কেন অস্বীকার করতে পারব না। আমরা একটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে যাচ্ছি, বেসরকারিভাবে ব্যক্তিরা মিটার বাজার থেকে কিনতে পারবে। বাজার থেকে মিটার কিনলে ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি সেটা সংযুক্ত করে দিতে পারবে।