৫৫ বছর পর চিলাহাটি দিয়ে ভারতে যাবে ট্রেন

প্রকাশিত: ১০:৩৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৮, ২০২০
ছবি সংগৃহীত

ধলাই ডেস্ক: প্রায় ৫৫ বছর পর নীলফামারীর চিলাহাটি থেকে ভারতের হলদিবাড়ি পর্যন্ত রেল যোগাযোগ আগামী ২৬ মার্চ শুরু হবে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ওইদিন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী রেলপথ যোগাযোগের উদ্বোধন করবেন।

শুক্রবার বিকেলে রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন চিলাহাটিতে ভারত-বাংলাদেশ সংযোগ রেল পথের নির্মাণ কাজ পরিদর্শনের সময় এ কথা জানান।

রেলমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারি অতিক্রম করতে পারলে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সেটি উদ্বোধন হবে। আর যদি সম্পূর্ণ নিরাপদ না হয়, তাহলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হবে।

তিনি বলেন, আশা করছি ডিসেম্বরের আগেই আমাদের অংশের রেললাইন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত হতে পারবো। ভারতের অংশে যেটুকু বাকি আছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার অনুরোধ জানানো হবে।

রেল সংযোগটির গুরুত্ব সম্পর্কে তিনি বলেন, অবিভক্ত ভারতের রেল যোগাযোগের এটিই প্রধান পথ ছিল। ভারত-পাকিস্তান ভাগ হওয়ার পরেও ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত এ লাইনটি চালু ছিল। কলকাতা থেকে এ পথে ট্রেন চলাচল করতো। সেই রেল যোগাযোগটি ১৯৬৫ সালের পাক ভারত যুদ্ধের সময় বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে যে সোনালী অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে তারই ফলশ্রুতিতে এ রেলপথ পুণরায় চালুর কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

গত জুন মাসে এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু করোনা মহামারির কারণে আমাদের অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এরপরেও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় এ প্রকল্পটি অনেকটা চলমান আছে। অন্যান্য প্রকল্পের মত এ প্রকল্পেরও এক বছর মেয়াদ বাড়ানো হলেও প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান এবং প্রকল্প পরিচালকের আন্তরিকতায় কাজটি শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আমাদের মাত্র দেড় কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ কাজ বাকি আছে, সেটি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নীলফামারী-১ আসনের এমপি আফতাব উদ্দিন সরকার, রেলপথ সচিব মো. সেলিম রেজা, রেলের পশ্চিমাঞ্চলীয় জোনের মহা ব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ, জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর চিলাহাটি রেল স্টেশন চত্বরে প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। বাংলাদেশ অংশে ম্যাক্স ইনফ্রাসট্রাকচার লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি করছে।

সূত্র: ডেইলী বাংলাদেশ…