অভাবের তাড়নায় গলায় ফাঁস দিলেন গৃহবধূ

প্রকাশিত: ৯:৩৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৬, ২০১৯
ফাইল ছবি

ধলাই ডেস্ক: ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় সংসারে অভাব-অনটনের কারণে চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে না পারায় স্বামীর ওপর অভিমান করে আত্মহত্যা করেছেন সালমা বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূ।

রোববার সকালে ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের ভিমিরকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সালমা বেগম ওই গ্রামের ইকরাম মাতুব্বরের স্ত্রী ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভিমিরকান্দা গ্রামের বাসিন্দা ইকরাম মাতুব্বর পেশায় একজন ফেরিওয়ালা। তিনি বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের মালামাল ফেরি করে বিক্রি করেন। সেখান থেকে যা রোজগার হয় তা দিয়েই কোনো রকমে সংসার চলে তাদের। সম্প্রতি তার সংসারে অভাব অনটন প্রকট আকার ধারণ করে। সংসারে অভাব-অনটনের কারণে স্ত্রী সালমা বেগমের সঙ্গে ঝামেলা লেগেই থাকতো ইকরাম মাতুব্বরের। দুই সন্তান নিয়ে সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। এর সঙ্গে নতুন করে যোগ হয় সালমা বেগমের অসুস্থতা। কোনো রকমে জোড়াতালি দিয়ে চলছিল তাদের সংসার। ঠিকমত খাবার জোগাড় করতে পারতেন না ইকরাম। সবকিছু মিলিয়ে সালমা বেগম মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।

এসব বিষয় নিয়ে রোববার সকালে রান্না করার পর স্বামীর ওপর অভিমান করে ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অসুস্থ সালমা বেগম। বাড়ির লোকজন টের পেয়ে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পরে খবর পয়ে পুলিশ সালমার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে পাঠিয়েছে।

হামিরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সামছুল আলম রাসেল বলেন, সালমা বেগমের স্বামী ইকরাম মাতুব্বর একজন ফেরিওয়ালা। তিনি ফেরি করে বিভিন্ন মালামাল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। সালমা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। স্বামী ইকরামের আয় রোজগার কম থাকায় সংসারে অভাব অনটন লেগেই থাকতো। নিজের অসুস্থতা তারপর সংসারে অভাব সব মিলিয়ে সালমা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

ভাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাইদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ওই গৃহবধূ অসুস্থ ছিলেন। সংসারের অভাব অনটন নিয়ে স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।