ধলাই ডেস্ক: মায়ের কাছে মাত্র ১০ টাকা চেয়েছিল শিশু কাউছার (৮)। এ জন্য তাকে পৃথিবীই ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে। পাষণ্ড মা স্বপ্না বেগম তাকে গলাটিপে হত্যা করেছেন।
সোমবার রাতে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে এ হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় স্বপ্না বেগমসহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ছেলেকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কাউছার স্থানীয় লোকমানিয়া হাফিজিয়া মাদরাসায় প্রথম শ্রেণিতে পড়ত। বাবার মো. রাসেল, পেশায় কাভার্ডভ্যান চালক।
স্থানীয়রা জানান, গাড়িচালক হওয়ায় বেশিরভাগ সময়ই রাসেল লক্ষ্মীপুরের বাইরে থাকেন। ঘটনার সময় কাউছার মায়ের কাছে ১০ টাকা চায়। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ছেলেকে মারধর ও এক পর্যায়ে গলাটিপে ধরেন। এতে কিছুক্ষণের মধ্যেই সে মারা যায়। পরে কাউছার মারা গেছে বলে স্বপ্না কান্না শুরু করেন। এর আগেও স্বপ্নার বাবার বাড়িতে রহস্যজনক কারণে তার এক মেয়ে মারা যায়।
পুলিশ জানায়, রাসেল দ্বিতীয় বিয়ে করায় সংসারে কলহ চলছিল। পরিবারে আর্থিক সংকটও দেখা দেয়। এজন্য ছেলে ১০ টাকা চাইলে স্বপ্না ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে গলাটিপে হত্যা করেন। পরে ছেলের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা করেছে বলে অপপ্রচারের চেষ্টা করে।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে শিশুটির মাসহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে স্বপ্না ছেলেকে গলাটিপে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।