ট্রাকের ধাক্কায় মাইক্রোবাস উল্টে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নিহত ৩

প্রকাশিত: ৪:৫০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১০, ২০১৯

ধলাই ডেস্ক: কুমিল্লার দেবিদ্বারে সড়ক দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। রোববার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দেবিদ্বার উপজেলার গোবিন্দপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার আলেখারচর এলাকার মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে ইউসুফ ও নগরীর অশোকতলা এলাকার মকবুল হোসেনের সাত বছরের কন্যা শিশু রবজা। তবে নিহত অপরজনের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

ময়নামতি হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, যাত্রী নিয়ে চান্দিনা থেকে মাইক্রোবাসটি ময়নামতি আসছিল। পথিমধ্যে মহাসড়কের দেবিদ্বার উপজেলার গোবিন্দপুর স্টেশনে মাইক্রোবাসটি যাত্রী ওঠানোর জন্য থামে। এ সময় পেছন থেকে একটি বাস ধাক্কা দিলে মাইক্রোবাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন।

সঙ্গে সঙ্গে অপর একটি ট্রাক মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিলে গাড়িটি মহাসড়কের ওপরে উল্টে যায় এবং গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে মাইক্রোবাসটিতে আগুন লেগে যায়। এ সময় আগুনে গাড়ির ভেতরই তিনজনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় হতাহতদের উদ্ধার করে চান্দিনা ফায়ার সার্ভিস।

প্রত্যক্ষদর্শী আবদুল মালেক, বশির ভূইয়া, রমিজ উদ্দিন, আলতাব আলী জানান, ফোরলেন জাতীয় এ মহাসড়কে থ্রি-হুইলার নিষিদ্ধ হওয়ার পর হাইওয়ে পুলিশকে টাকা দিয়ে অবৈধভাবে পুরাতন মাইক্রোবাস ও মারুতি গাড়ি লোকাল যাত্রী বহন করে। ওই মাইক্রোবাসটি চান্দিনা বাস স্টেশন থেকে ময়নামতি রুটে চলাচল করতো। যাত্রীদের অধিকাংশই চান্দিনার একটি মাহফিল শেষে বাড়ি ফিরছিলেন।

চান্দিনা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সফিক উদ্দিন মুন্সি বলেন, আমরা এসে তিনজনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠাই এবং শিশুসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করি। এর আগে আরও দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা।

চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক দেলোয়ার হোসেন জানান, হালিমা, আবুল কাশেম ও জসিম উদ্দিন নামের ৩ জনকে এ হাসপাতালে আনার পর তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে আহত হালিমার ৫০ শতাংশ, আবুল কাশেমের ৩৫ শতাংশ এবং জসিম উদ্দিনের ২৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

এদিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকরা জানান, সজিব ও মজনু নামের দুইজনকে হাসপাতালে আনার পর তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ময়নামতি হাইওয়ে থানা পুলিশের ওসি আলমগীর হোসেন জানান, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িটি উদ্ধার করে ডাম্পিংয়ে নেয়া হয়েছে। ট্রাক ও বাস চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি।

দেবিদ্বার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল আনোয়ার বলেন, দুর্ঘটনার বিষয়টি হাইওয়ে পুলিশ দেখছে। আমাদের থানায় শুধু মামলা হবে।