ডেস্ক নিউজ: লন্ডনের একটি মসজিদে তারাবির নামাজ চলাকালীন মুখোশ পরিহিত এক অস্ত্রধারী হামলার চেষ্টা চালিয়েছেন। মুসল্লিরা তৎক্ষণাৎ ধাওয়া দিলে অস্ত্রধারী ওই হামলাকারী ফাঁকা গুলি ছুড়ে পালিয়ে যান। তবে এই হামলার ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের এক অনলাইন প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত পৌনে ১১টায় পূর্ব-লন্ডনের ইলফোর্ডে অবস্থিত সেভেন কিংস নামের একটি মসজিদে হামলার চেষ্টা করেন ওই অস্ত্রধারী।
লন্ডন পুলিশ হামলার ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। তারা বলছেন, মসজিদে হামলা চেষ্টার এই ঘটনা কোনো সন্ত্রাসী হামলা নয়। তারাবির নামাজের সময় মসজিদে এমন হামলা চেষ্টার খবরে দেশটির মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ডেইলি মিররের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মসজিদে যখন তারাবিহ নামাজ চলছিল, তখন মুখোশ পরিহিত এক অস্ত্রধারী মসজিদে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। এ সময় কয়েকজন মুসল্লি তাকে ধাওয়া দেয়। ফাঁকা গুলি ছুড়ে অস্ত্রধারী দৌড়ে পালিয়ে যায়।
ইব্রাহিম হুসাইন নামের এক মুসল্লি সে সময় মসজিদের ভেতর ছিলেন। তিনি গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘তারাবিহ নামাজ শুরু হওয়ার আধাঘণ্টা পর আমি গুলির শব্দ শুনতে পাই। শব্দ শুনে মনে হলো গুলি কিংবা ভারী কিছু ফেলে দেয়ার মতো। কিন্তু নামাজ শেষ না হওয়ায় উঠতে পারছিলাম না।’
প্রত্যক্ষদর্শী ওই মুসল্লি আরও জানান, ‘মসজিদটির মোট তিনটি অংশ রয়েছে। রমজান মাস শুরু হওয়ায় তারাবিহ নামাজ পড়তে পুরো মসজিদটি ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। আমরা ছিলাম উপরের তলায়। শব্দ শোনার পর অনেকে ভয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন।
স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড এক বিবৃতিতে মসজিদে হামলা চেষ্টার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছে, মসজিদ ও মসজিদটির আশপাশের এলাকায় সশস্ত্র পুলিশ পাহারা বসানো হয়েছে। হামলার ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
গত মার্চে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে জুমার নামাজের সময় এক অস্ত্রধারীর হামলায় ৫০ মুসল্লি নিহত হন। তারপর গত মাসে শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডে চলাকালীন তিনটি গির্জায় হামলার ঘটনায় আড়াই শতাধিক মানুষ প্রাণ হারান। সেই ঘটনার রেষ কাটতে না কাটতেই এমন হামলা চেষ্টা।