ধর্ম ডেস্ক: রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতিবেশি ও মেহমানের সঙ্গে উত্তম আচরণ করতেন। নিকটস্থ প্রতিবেশিরাই আপন আত্মীয়-স্বজনদের চেয়েও অধিক কাজে আসে। কেননা আত্মীয়-স্বজন সাধারণত কাছে থাকে না, প্রতিবেশীরাই বিপদাপদে, দুঃখ-দুর্দশায় প্রথমে এগিয়ে আসে।
তাছাড়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মেহমানদের সঙ্গে উত্তম আচরণকে আবশ্যক করেছেন। যা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। তিনি প্রতিবেশি ও মেহমানদের সঙ্গে উত্তম ব্যবহার দেখানো, সম্মান করার এবং কল্যাণকর কথা বলার নির্দেশ দিয়েছেন; নতুব চুপ থাকতে বলেছেন। তিনি বলেন-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করে বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালের ওপর বিশ্বাস রাখে, সে যেন কল্যাণকর কথা বলে আর না হয় চপু থাকে। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালের ওপর বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার প্রতিবেশির সাথে সদ্ব্যবহার করে। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালের ওপর বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার মেহমানকে সম্মান করে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ হাদিসের ওপর আমল করা আবশ্যক। বর্তমান সময়ে মানুষে মানুষে হানাহানি নৈরাজ্য চলছে। এ হাদিসের আমল সমাজে বাস্তবায়ন হলে শান্তিময় সুন্দর সমাজ তৈরি হবে। অন্যায় অপরাধ কমে যাবে। মানুষের মাঝে মানবতাবোধ জাগ্রত হবে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। দুনিয়ায় আল্লাহ তাআলার প্রতি পরিপূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করে পরকালের কামিয়াবী অর্জনের তাওফিক দান করুন। আমিন।