সরকারি স্কুলেও শুরু হচ্ছে নার্সারি

প্রকাশিত: ৮:১১ অপরাহ্ণ, মে ১২, ২০১৯

ডেস্ক নিউজ: দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির আগে নার্সারি শ্রেণি চালু করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রাণয়। শিশুদের কিন্ডার গার্টেন (কেজি) স্কুল বিমুখ করা এবং ৪ বছর বয়সী সব শিশুকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্যই এ ধরনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। আগামী বছর থেকে এ ধরনের কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দেশের নানা প্রান্তে কেজি স্কুলের রমরমার কারণে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা ঝিমিয়ে পড়ছে। শিশুরা ৫ বছর বয়সী না হলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে না। অথচ ৩ বছর বয়সেই কেজি স্কুলে ভর্তি হওয়া যায়। এতে এক ধরনের বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে। এ রকম পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকজন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির বয়স ৪ বছর করার জন্য বলেছেন।

তবে এ প্রস্তাবের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, নিয়ম যা আছে, তা-ই থাকবে। শুধু নার্সারি নামে আরেকটি শ্রেণি যুক্ত করা হবে। সে ক্ষেত্রে একটি শিশু ৪ বছর বয়সে প্রথমে নার্সারি, ৫ বছর বয়সে শিশু শ্রেণি এবং ৬ বছর বয়সে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হবে। এর ফলে শিশুরা কেজি স্কুলে যেতে নিরুৎসাহিত হবে। আইন করে আর কেজি স্কুলের লাগাম টানতে হবে না।

জানা গেছে, সারা দেশেই, বিশেষত শহরাঞ্চল ও মহানগরগুলোয় চাহিদার তুলনায় মানসম্মত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভাবে যত্রতত্র কেজি স্কুল চালু হয়েছে। বাসস্থানের নিকটবর্তী হওয়ায় এবং নিরাপত্তার কারণে অনেক অভিভাবকই অনিচ্ছা সত্ত্বেও সন্তানকে এসব স্কুলে ভর্তি করান। কেজি স্কুলের শিক্ষা বিষয়ে সরকারি কোনো সুস্পষ্ট নীতিমালা না থাকায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সম্পূর্ণ বাণিজ্যিকভিত্তিতে এবং ব্যক্তিবিশেষের মর্জিমাফিক এসব স্কুল পরিচালিত হয়। কিন্ডার গার্টেন শিক্ষাব্যবস্থায় প্রথম শ্রেণিতে পড়ার আগে একটি শিশুকে প্লে, নার্সারি ও কেজি- এ তিনটি শ্রেণিতে মোট তিন বছর কাটাতে হয়। প্রতিটি শিক্ষার্থীকে মোটা অঙ্কের ভর্তি ফিসহ নানা ধরনের চার্জ পরিশোধ করে প্রতিবছর নতুনভাবে ভর্তি হতে হয়।
সরকারের এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের মাধ্যমে  কেজি স্কুলের লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।