আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলার পর ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, অপরাধযজ্ঞের চূড়ান্ত জবাবে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পা কেটে দেয়া হবে। এর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য থেকে মার্কিনি শেকড় উপড়ে ফেলার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
বুধবার ভোররাতে ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলের আইন আল আসাদ এবং কুর্দিস্তানের এরবিলে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ১৫টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পর ইরানে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠকে হাসান রুহানি বলেন, ইরাকে জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে তার সহযোদ্ধাসহ হত্যার ঘটনা আন্তর্জাতিক সব রীতিনীতির লঙ্ঘন। ন্যক্কারজনক এই হত্যাকাণ্ডকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ ও সুস্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ বলেও তিনি মন্তব্য করেন। ইরানি এই প্রেসিডেন্ট মার্কিন সন্ত্রাসী বাহিনী ওই হত্যাকাণ্ড চালিয়ে তাদের লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন, জানিয়েছে পার্সট্যুডে।
তিনি বলেন, ইরানি জেনারেলকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ভুল করেছে। জেনারেল সোলেইমানি কেবল একজন সামরিক কমান্ডারই ছিলেন না বরং তিনি ছিলেন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন সংগঠন ও কর্মকর্তার সঙ্গে রাজনৈতিক সংলাপ করার মতো একজন শক্তিশালী ও কৌশলী ব্যক্তিত্ব।
‘তিনি খুব হিসাব-নিকাশ করে কাজ করতেন এবং কোনোভাবেই উগ্রপন্থা গ্রহণ করতেন না। ইরানের নিরাপত্তা, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, বায়তুল মোকাদ্দাসের স্বাধীনতা, আঞ্চলিক দেশগুলোর নিরাপত্তা ও আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে নিজ নিজ দেশের ওপর নির্ভরতা এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর স্বাধীনতাই ছিল কাসেম সোলেইমানির লক্ষ্য।’
আমেরিকাকে আঞ্চলিক দেশগুলোর পক্ষ থেকে আসল জবাব দেয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন রুহানি। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি এরপরও কোনোরকম অপরাধী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে তাহলে এর চেয়েও কঠোর জবাব পাবে।
বুধবার ইরানের স্থানীয় সময় ভোরের দিকে ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত আল-আনবার প্রদেশে ‘আইন আল-আসাদ’ ও কুর্দিস্তানের এরবিলে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী। এই হামলার পর ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে ৮০ জন মার্কিন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।