১৩৩০ বছরের পুরোনো সাহাবা মসজিদ লালমনিরহাটে পুনঃনির্মিত হচ্ছে

প্রকাশিত: ৫:১৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২০

ধর্ম ডেস্ক: লালমনিটরহাটের ঐতিহাসিক সাহাবা মসজিদ। ৬৯০ খ্রিস্টাব্দ মোতাবেক ৬৯ হিজরিতে নির্মিত হয়। এ প্রাচীণ মসজিদ পুনঃনির্মাণে ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছে।

লালমনিরহাটের ৭ নং পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সাহাবা মসজিদের সভাপতি মো. দেলওয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ দিন অনুষ্ঠিত হয় বিশাল ইসলামি মহাসম্মেলন।

নতুন করে এ মসজিদের ভিত্তিস্থাপন করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চাচা হজরত আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর বংশধর ও ফিলিস্তিনের মসজিদে আকসার গ্র্যান্ড ইমাম শায়খ আলি উমর ইয়াকুব আল-আব্বাসি।

সাহাবা মসজিদকে কেন্দ্র করে সেখানে গড়ে তোলা হবে আস-সাহাবা কমপ্লেক্স। মসজিদের পাশাপাশি এটি হবে দেশের সবচেয়ে বড় একটি ইসলামিক সেন্টার।

স্থানীয়দের দাবি
এ মসজিদটি হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কোনো এক সাহাবি নির্মাণ করেছেন। যিনি এ অঞ্চল অতিক্রম করে চীনে গিয়েছিলেন। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা লালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস গ্রামে ৬৯ হিজরিতে ঐতিহাসিক সাহাবা মসজিদ নির্মিত হয়েছিল।

চীনের ঐতিহাসিক কোয়াংটা নদীর ধারে কোয়াংটা শহরে তার নির্মিত আরও একটি মসজিদ এবং তার সমাধি সৌধ রয়েছে। ওই সাহাবির নাম হজরত আবু ওয়াক্কাস রাদিয়াল্লাহু আনহু।

রংপুর জেলার ইতিহাস গ্রন্থ থেকেও জানা যায় যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আম্মা বিবি আমেনার চাচাতো ভাই হজরত আবু ওয়াক্কাস রাদিয়াল্লাহু আনহু ৬২০ থেকে ৬২৬ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশে ইসলাম প্রচারে আসেন।

ধারণা করা হয়, তিনিই এ ঐতিহাসিক মসজিদটি নির্মাণ করেন। বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ও প্রাচীন এই মসজিদটি উত্তর-দক্ষিণে ২১ ফুট লম্বা এবং পূর্ব-পশ্চিমে ১০ ফুট চওড়া।

বাংলাদেশের এ প্রাচীন মসজিদটি সাহাবা মসজিদ নামে পরিচিত। এ মসজিদ ও আস-সাহাবা কমপ্লেক্স নির্মাণে উদ্যোগ নিয়েছেন দেশ ও বিদেশের অনেক আলেম ওলামা।