বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়াই আমাদের লক্ষ্য : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৪:০৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২০

ধলাই ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। ইতোমধ্যে ক্ষণগণনা উদ্বোধন করা হয়েছে। এখন মুজিববর্ষ পালন করার সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত।

তিনি বলেন, ৭৪ সালে জাতির পিতা রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য যে আইন করে দিয়েছে অর্থাৎ একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের সমস্ত কাঠামো নীতিমালা, বিধিমালা যা যা দরকার হতে পারে সবই করে দিয়ে গেছেন তিনি।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রোমের পার্কো দেই প্রিন্সিপি গ্র্যান্ড হোটেল অ্যান্ড স্পায় ইতালি আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক গণসংবর্ধনায় তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে এত কাজ জাতির পিতা কীভাবে করে গেলেন তা আমার বুঝে আসে না। তার লক্ষ্য বাংলাদেশকে সুন্দরভাবে সাজানো। এখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলাদেশ গড়াই আমাদের লক্ষ্য।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল, বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না, মানুষ না খেয়ে কষ্ট পাবে না। প্রতিটি মানুষ সুন্দর জীবন পাবে, লেখাপড়া শিখবে। চিকিৎসা পাবে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সে কাজ সম্পন্ন করে যেতে পারেননি জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, একদিকে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলে আর্থ সামাজিক উন্নয়নের পথে যখন যাত্রা শুরু করলেন। আমাদের দুর্ভাগ্য ৭৫ সালে ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো।

তিনি আরও বলেন, প্রবাসীদের হয়রানি করা হয়, তা আমার জানা আছে। এটি সমাধানের জন্য আমরা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করব। এরই মধ্যে টার্মিনাল- ৩ এর কাজ শুরু হচ্ছে।

তিনি বলেন, অবৈধভাবে যারা সংবিধান লঙ্ঘন করেছে তাদের ভাগ্য আজ কঠিন। ঘুষ নেয়া ও দেয়া দুইটাই অপরাধ । এই কালচার বিএনপি শুরু করে।

ইতালি আওয়ামী লীগ সভাপতি ইদ্রিস ফরাজীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবালের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, রোমে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুস সোবাহান সিকদার, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতানা শরীফ প্রমুখ।

এছাড়া জার্মান, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড,বেলজিয়াম,স্পেনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সফরকালে ৫ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুইজেপ্পে কোন্তের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। বৈঠকে বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে তিনটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রস্তাবিত এই চুক্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে সাংস্কৃতিক বিনিয়োগ, রাজনৈতিক আলোচনা এবং কূটনৈতিক ক্ষেত্রে আলোচনা।