আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনে ক্রমেই মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ছে প্রাণঘাতী ভাইরাস। এরইমধ্যে এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়েছে। সরকারি হিসাবে, ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৫১৯ জন। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছেন আরো ৬৬ হাজারেরও বেশি মানুষ। শনিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইট টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল হুবেই প্রদেশে নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ১৩৯ জনের। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়েছে।
হুবেই প্রদেশের স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, সেখানে নতুন করে দুই হাজার ৪২০ জনের শরীরে এ ভাইরাস পাওয়া গেছে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান শহরের একটি বন্যপ্রাণীর বাজার থেকে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। একপর্যায়ে এই ভাইরাস নিয়ে বিশ্বজুড়ে জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি (হেলথ ইমার্জেন্সি) ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও। এখন পর্যন্ত অন্তত ২৮টি দেশে শনাক্ত হয়েছে এই ভাইরাস।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশির মতো সমস্যা দেখা দেয়। ভাইরাসটি যাতে ছড়িয়ে না যায়, সেজন্য হুবেই প্রদেশকে পুরো দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে চীন। ওই অঞ্চলের সঙ্গে চীনসহ বাইরের দুনিয়ার সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এ ভাইরাস মোকাবিলায় ৬৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাডহানম গেব্রিয়াসাস। বহু দেশেই করোনাভাইরাস শনাক্তের পদ্ধতি না থাকাই বড় দুশ্চিন্তার কারণ বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ভাইরাসে আক্রান্তদের শনাক্ত, পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং তাদের সেবা নিশ্চিতে দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি মানুষ থেকে মানুষে ছড়ানো ঠেকাতে সহায়তা দেয়া প্রয়োজন।