স্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের আদমপুর ইউনিয়নের ভানুবিল গ্রামের আপন সিংহ (৩০) এক সপ্তাহ আগে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। তিনি ঢাকায় শিক্ষকতা করেন। আকস্মিক আপন সিংহ অসুস্থ্য হয়ে পড়াকে করোনাভাইরাস আক্রান্ত মনে করে গ্রামাবাসী পরিবারটিকে অনেকটা এক ঘরে করে তাদরে সাথে যোগা বন্ধ করে দিয়েছে। পুরো উপজেলা ছড়িয়ে পড়ে এই শিক্ষক করোনা আক্রান্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
ঘটনার পর থেকে শিক্ষক আপন সিংহের আদমপুর ইউনিয়নের ভানুবিল গ্রামের বাড়ি ও তার আত্মীয় মাধবপুর ইউনিয়নের একটি বাড়িকে হোম কোয়ারেন্টিন করে দুই মণিপুরি সদস্যরা এখন হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন।
শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি চিকৎসকদল ও পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ভানুবিল গ্রামে শিক্ষক আপন সিংহের বাড়ি যান। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ ড্রেস (পিপিই) পরিধান করে চিকিৎসক সৌমিত্র সিনহার নেতৃত্বে দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি দল ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে শিক্ষক আপন সিংহের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। তার কাছ থেকে তথ্য উপাত্ত নিয়ে ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে জানা যায় তিনি করোনা সংক্রমিত নন। বাড়ি ফিরে নিজের বাড়ি ও মাধবপুরে এক বোনের বাড়িতে অনিয়ন্ত্রিতভাবে খাওয়া দাওয়া করায় খাদ্যে কিছুটা বিষক্রিয়া হয়েছে। এ জন্য তিনি কিছুটা অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন।
চিকিৎসক সৌমিত্র সিনহা উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, আপন সিংহের কিছুটা এলার্জিক্যাল সমস্যা রয়েছে। তবে করোনাভাইরাসের কোন উপসর্গ তার দেহে নাই। আকক্সিক অসুস্থ্য হওয়া নিয়ে স্থানীয় এক জনের সাথে তার তর্কবিতর্ক নিয়ে বিষয়টি করোনা সংক্রমতি বলে ব্যাপক প্রচার হয়েছে। এর পর গত ২ দিন ধরে এ পরিবারটি সামাজিকভাবে কিছুটা হেয় হয়ে এ ঘরে অবস্থায় রয়েছে। তার পরও শিক্ষক আপন সিংহকে নিজ বাড়িতে একটি ঘরে আলাদা হয়ে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, আসলে ভানুবিল গ্রামের শিক্ষক আপন সিংহ করোনাভাইরাস আক্রান্ত নন। তার পরও তাকে নিজ বাড়িতে একটি আলাদা কক্ষে হোম কোয়ারেন্টিনে রাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন তার পরিবার ও মাধবপুরে তার বোনের পরিবারকেও সতর্কতা অবলম্বন করে এলাকাবাসী থেকে আলাদা থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ইউপি সদস্য সুনীল সিনহার মাধ্যমে ভানুবিল গ্রামবাসীদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এফবিতে বা মুঠোফোন করে এমনকি সরাসরি এসে এ পরিবারকে ঝালাতন না করতে। অন্যতায় প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।