ধলাই ডেস্ক: নতুনভাবে এপিওভুক্তি হয়েছে এক হাজার ৬৩৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পাঁচ স্তরে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তির কোড যুক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বুধবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. কামরুল হাসান সাক্ষরিত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
তালিকায় নিম্ন মাধ্যমিকে ৪৩০, মাধ্যমিকের ৯৯১, স্কুল অ্যান্ড কলেজ পর্যায়ে ৬৮, কলেজ পর্যায়ে ৯২ এবং ডিগ্রি পর্যায়ে ৫২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ মোট এক হাজার ৬৩৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এমপিও হওয়া শিক্ষক কর্মচারীরা ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকেই বেতন ভাতা পাবেন। এজন্য তাদেরকে অনলাইনে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরে আবেদন করতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই করে তাদের এমপিও কার্যকর করা হবে।
আদেশে বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ অনুযায়ী শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন-ভাতাদি প্রাপ্য হবেন। তবে শিক্ষক-কর্মচারীদের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা নিয়োগকালীন সময়ের বিধিবিধান, পরিপত্র, জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী প্রযোজ্য হবে।
যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছে তাদের মধ্যে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নীতিমালা অনুযায়ী যোগ্যতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হলে সে প্রতিষ্ঠানের এমপিও স্থগিত করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ২৩ অক্টোবর গণভবনে ২ হাজার ৭৩০টি প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির তালিকা প্রকাশ করেন। এর আগে এই সরকারের প্রথম মেয়াদে ২০১০ সালে ৬২৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়।
এদিকে মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা চূড়ান্ত করতেও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন।