বিনোদন ডেস্ক: দেশের আপামর জনগণের বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে সিনেমা হলের গুরুত্ব অপরিসীম। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এদেশে অসংখ্য সিনেমা হল নির্মিত হয়। সময়ের বিবর্তনে অনেক সিনেমা হল বিলীন হয়ে বহুতল শপিং কমপ্লেক্সে পরিণত হয়েছে। তবে এখনো কিছু সিনেমা হল তাদের নিজস্ব স্বকীয়তায় টিকে আছে। তেমনই একটি রাজধানীর নামকরা সিনেমা হল অভিসার। এটি রাজধানীর টিকাটুলির মোড়ে অবস্থিত।
চলচ্চিত্রের মন্দাভাব অন্যদিকে গত দুই মাস ধরে করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ রয়েছে সিনেমা হলগুলো। লোকসানের মুখে এবার অভিসার সিনেমা হলটি ভেঙে কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ করা হচ্ছে।
জানা গেছে, ২৬ কাঠা জায়গাজুড়ে অবস্থিত অভিসার সিনেমা হলটি ভেঙে কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ ও ছোট পরিসরে একটি সিনেমা হল রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। আর্থিক সঙ্কটের মুখে বাধ্য হয়ে হলটি ভেঙে বাণিজ্যিক ভবন করছেন বলে জানিয়েছেন প্রেক্ষাগৃহের অন্যতম মালিক সফর আলী ভূঁইয়া।
১৯৬৮ সালের দিকে ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিনের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয়; ১৯৯২ সালে দেনার দায়ে কে এম আর মঞ্জু ও সফর আলী ভূঁইয়ার কাছে অভিসার বিক্রি করেন। কেনার পর অভিসারের উপর ‘নেপচুন’ নামে আরেকটি সিনেমা হল তৈরি করেন তারা।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই পাঁচতলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হবে। এই ভবনে একটি কমিউনিটি সেন্টার থাকবে। পাশাপাশি অন্যান্য তলায় ব্যাংক-বীমা ও সায়েন্টিফিক সরঞ্জাম বিক্রির দোকান ভাড়া দেয়া হবে।
প্রায় ৫২ বছরের পুরোনো অভিসার ভেঙে ফেলা হলেও স্মৃতি হিসেবে নামটাকে টিকিয়ে রাখতে সেই ভবনেই ‘নামকাওয়াস্তে’ দেড়’শ আসনের ছোট সিনেমা হল রাখার পরিকল্পনা আছে তাদের। তবে নেপচুন নামে কোনো হল থাকছে না বলে জানান সফর আলী ভূঁইয়া।
সফর আলী ভূঁইয়া বলেন, এক হাজার আসনের অভিসার সিনেমা হলে প্রায় ৪০ জন স্টাফ ও ৬ জন ম্যানেজার কর্মরত ছিলেন। সেখান থেকে ছোট হলের জন্য ১ জন ম্যানেজার ও ৬ জন স্টাফ রাখবো।
প্রসঙ্গত, চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্কটের মধ্যে কয়েক বছর ধরেই একের পর এক সিনেমা হল বন্ধ হয়েছে। প্রেক্ষাগৃহ সমিতির তথ্য অনুযায়ী, ১ হাজার ৪৩৫টি প্রেক্ষাগৃহ থেকে বন্ধ হতে হতে বর্তমানে ১৭২টিতে নেমেছে।