
ধর্ম ডেস্ক: প্রিয় নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘সাল্লু কামা রায়াইতুমুনি উ-সাল্লী।’
অর্থ: ‘তোমরা ঠিক সেইভাবে নামাজ পড় যেইভাবে আমাকে পড়তে দেখেছো। (বুখারি ও মুসলিম)।
দুনিয়াতে সবচেয়ে উত্তম ইবাদত হলো নামাজ। এর প্রতিটি রুকন আদায় করতে হবে ধীরস্থিরভাবে। আর প্রতিটি রুকনেই রয়েছে মাসনুন দোয়া। যে দোয়াগুলো রাসূলুল্লাহ (সা.) পাঠ করতেন। তিনি (সা.) সিজদায় অনেক দোয়া পড়তেন।
নামাজের মধ্যে বান্দার যে জিনিসটি রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালার পছন্দনীয় তা হচ্ছে সিজদা।
নামাজে সিজদায় দোয়া করার নিয়ম:
> সিজদায় দোয়া কবুল হয়। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘বান্দা যখন সিজদারত থাকে, তখন সে তার রবের সবচেয়ে নিকটবর্তী হয়। কাজেই তোমরা এ সময়ে বেশি বেশি দোয়া করবে।’ (সহিহ মুসলিম: ১/৩৫০)।
> সিজদায় দোয়া করার জন্য প্রথমে অবশ্যই সিজদার তাসবিহ পড়ে নিতে হবে। সে হিসেবে সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা বা অন্য কোনো তাসবিহ (৩ বার) পড়ার পরই দোয়া শুরু করতে হবে, হোক সেটি ফরজ, সুন্নত বা নফল সালাত। অর্থাৎ ফরজ সালাতেও সিজদায় দোয়া করা বৈধ। তবে, আলেমদের অনেকেই বলেছেন, ফরজ নামাজের সিজদায় দোয়া না করা উত্তম, তবে এটি ‘নাজায়েজ’ নয়।
> সিজদায় দুনিয়াবি দোয়া করা যাবে কিনা? এই ব্যাপারে হানাফি মাজহাবের বিভিন্ন গ্রন্থে এসেছে— যেভাবে দোয়া করলে মনে হবে, মানুষের পারস্পরিক কথোপকথন বা যে বিষয়টি মানুষের কাছে চাইলে পাওয়া যাবে, সেটি সিজদায় আল্লাহর কাছে চাইলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। যেমন: ‘হে আল্লাহ! আমাকে ১ লক্ষ টাকা দাও!’
তবে, যে বিষয়টি মানুষের সাধ্যে নেই, সেটি আল্লাহর কাছে সিজদায় চাওয়া যাবে। যেমন: ঋণমুক্তি, ভালো জীবনসঙ্গী, সচ্ছলতা, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি ইত্যাদি। এগুলো কোনোটিই মানুষের হাতে নেই। আল্লাহই সর্বাধিক জানেন।
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে সঠিকভাবে আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।