করোনাভাইরাস : বগুড়ায় ৯ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত: ৫:১০ অপরাহ্ণ, জুন ২২, ২০২০
ফাইল ছবি

ধলাই ডেস্ক: বগুড়ায় গত ৪৮ ঘণ্টায় সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে পাঁচজন এবং উপসর্গ নিয়ে চারজনসহ মোট নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে প্রকৌশলী, প্রত্নতত্ত্ববিদ, শিক্ষক, আইনজীবী, ব্যবসায়ী ও দুই নারী রয়েছেন।

বগুড়ার বেসরকারি টিএমএসএস হাসপাতালে রোববার (২১ জুন) রাতে করোনায় আক্রান্ত দুইজন মারা যান। তারা হলেন বগুড়া শহরের বৃন্দাবনপাড়া এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ (৬২) ও শহরের ফুলবাড়ি উত্তরপাড়া এলাকার বাসিন্দা তারেক হোসেন (৪০)। আবুল কালাম আজাদ শহরের হকার্স মার্কেটে কাপড়ের ব্যবসা করতেন এবং তারেক হোসেন পরিবহন ব্যবসায়ী ছিলেন।

টিএমএসএস হাসপাতালের মুখপাত্র আব্দুর রহিম রুবেল বলেন, রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে টিএমএসএস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবুল কালাম আজাদ। মারা যাওয়া আবুল কালাম আজাদ ১২ জুন করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। সেইদিনই তার নমুনার ফলাফলে করোনা পজিটিভ আসে। পরে তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ অবস্থার অবনতি হলে ১৮ জুন হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। রোববার রাত সাড়ে ১২টায় তিনি মারা যান।

পরিবহন ব্যবসায়ী তারেক হোসেনকে রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে টিএমএসএস হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। তারেক হোসেন ১৬ জুন করোনায় আক্রান্ত হন। পরে তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন। রোববার হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হলে টিএমএসএস হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

এর আগে ২৪ ঘণ্টায় সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনজন এবং উপসর্গ নিয়ে আরও চারজনসহ মোট সাতজনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে একজন প্রকৌশলী, একজন প্রত্নতত্ত্ববিদ, শিক্ষক, আইনজীবী, যুবক ও দুই নারী রয়েছেন। শনিবার বিকেল ৩টা থেকে রোববার বিকেল ৩টার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।

এদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোহাম্মদ সালাউদ্দিন (৫৪) নামে এক প্রকৌশলী ও সাফিউল আলম (৫৯) নামে এক শিক্ষক মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সালাউদ্দিন গাবতলী উপজেলার হামিদপুর এলাকার বাসিন্দা। সাফিউল আলম গাবতলীর লাঠিগঞ্জ স্কুল ও কলেজের শিক্ষক ছিলেন।

শনিবার বিকেল পৌনে ৪টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরেফা বেগম (৯৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি শহরের রিয়াজ কাজি লেনের মৃত মনোয়ার হোসেনের স্ত্রী। শনিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে শহরের সুত্রাপুর রিয়াজ কাজি লেনের নিজ বাসায় ওই নারী শ্বাসকষ্টে মারা যান।

এদিকে, করোনার উপসর্গ নিয়ে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের আঞ্চলিক সহকারী পরিচালক (এডি) মজিবুর রহমান (৫৮) মারা গেছেন। তিনি গাজীপুরের কাপাসিয়া এলাকার বাসিন্দা হলেও মহাস্থানগড়ে প্রত্নতত্ত্ববিদ অধিদফতরের কোয়ার্টারে থাকতেন। শনিবার রাত ৮টায় বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে মারা যান তিনি। শনিবার দুপুরে শহরের খান্দার এলাকার এক নারী করোনার উপসর্গ নিয়ে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে মারা যান।

করোনার উপসর্গ নিয়ে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসিইউতে মো. এমাজউদ্দিন (৬২) নামে এক আইনজীবী মারা গেছেন। শনিবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে তিনি মারা যান।

এর আগে করোনার উপসর্গ নিয়ে কোহিনুর বেগম নামে এক নারী, দুপচাঁচিয়ার উপজেলার পরশ মিয়া (৩৫) নামে এক যুবক মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে মারা যান।

বগুড়ার সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আরএমও ডা. খায়রুল বাশার মোমিন বলেন, উপসর্গ নিয়ে যারা মারা গেছেন তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

সূত্র: জাগো নিউজ…