ধলাই ডেস্ক: চাঁদপুর সদর উপজেলার হানারচর এলাকায় চলছে মেঘনা নদীর ভাঙন। এতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি, বসতঘর, গাছপালাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
মেঘনার ভাঙন থেকে বাপ-দাদার শেষ সম্বলটুকু জরুরি ভিত্তিতে রক্ষার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিন চাঁদপুর সদর উপজেলার হানারচর ইউপিতে গিয়ে দেখা যায়, স্রোত ও নদীর ঢেউয়ে ভাঙছে নদীর পাড়। ওই ইউপির গোবিন্দিয়া গ্রাম থেকে আখনের হাট পর্যন্ত তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙনের তীব্রতা দেখা দিয়েছে।
এরইমধ্যে ওই এলাকার বিভিন্ন স্থানে ২শ’ থেকে ৩শ’ মিটার জায়গা নদীগর্ভে চলে গেছে।
নদী ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়েছে ওই এলাকায় বসবাসকারী হালদার বাড়ি, সরকার বাড়ি, বেপারী বাড়ি, আখন্দ বাড়ি, দেওয়ান বাড়িসহ অনেক পরিবারের সদস্যরা। এছাড়াও ভাঙন আতঙ্কে অনেকেই বসতঘর সরিয়ে নিয়েছেন।
নদী ভাঙন চললেও নেয়া হচ্ছে না কোনো ধরনের ব্যবস্থা। এতে মেঘনা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি, বসতঘর, গাছপালা ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে বেড়িবাঁধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদসহ অন্যান্য স্থাপনা।
গোবিন্দিয়া গ্রামের বাসিন্দা আবদুর রহমান জমাদার, মো. জহিরুল ইসলাম, মো. জাহাঙ্গীর ও এ বি এম তারেক আলম জানান, চাঁদপুর শহর থেকে হাইমচর উপজেলা পর্যন্ত মেঘনা নদীর ভাঙনরোধে নদীর পাড়ে বল্ক ও জিও ব্যাগ ভর্তি বালি ফেলা হয়েছে।
অজ্ঞাত কারণে হানারচর এলাকায় কোনো কাজ করা হচ্ছে না। গত বর্ষায়ও নদী ভাঙনের শিকার হয়েছি। এখনো যদি দ্রুত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হয় তাহলে বাপ-দাদার বসতভিটা নদী গর্ভে হারিয়ে যাবে। আর মাথা গোঁজার কোনো ঠাঁই থাকবে না।
চাঁদপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান বলেন, মেঘনা নদীর ভাঙন থেকে চাঁদপুরবাসীকে রক্ষা করতে সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে নদী ভাঙন রোধ করেছে।
হানারচর রক্ষায় এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ওই জনপদটি রক্ষায় দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর আবেদন জানাচ্ছি।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. বাবুল আখতার বলেন, হানারচর ইউপিকে মেঘনার ভাঙন থেকে রক্ষা করতে এরইমধ্যে একটি প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। চূড়ান্ত অনুমোদন পেলেই ভাঙনরোধে দ্রুত কার্যক্রম শুরু করা হবে।