ধলাই ডেস্ক: জামালপুরে যমুনা নদীর পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানের পাহাড়ি ঢল আর টানা ভারি বর্ষণে জেলায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। পানিতে তলিয়ে আছে সাত উপজেলার ৮ পৌরসভা ও ৫৯টি ইউনিয়ন। বন্যায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে ৯ লাখ ৮৭ হাজার ৫৪১ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বন্যা দুর্গত এলাকায় আঞ্চলিক ও স্থানীয় সড়কসহ ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে রয়েছেন বানভাসিরা। মানুষের তুলনায় ত্রাণ এখন অপ্রতুল।
যমুনা নদীর পানি ধীর গতিতে কমতে থাকলেও ব্রহ্মপুত্র, ঝিনাই, সুবর্ণখালী, জিঞ্জিরাম, দশআনীসহ নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। সাত উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলে জেলায় ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে জনদুর্ভোগ।
ইতোমধ্যে নিম্নাঞ্চল থেকে লোকালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করে চরমে পৌঁছেছে মানুষের ভোগান্তি। আঞ্চলিক ও স্থানীয় সড়কসহ রেললাইন পানিতে ডুবে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। পানিতে ডুবে আছে গ্রামীন হাট, বাজার, দোকান পাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। পানিতে তলিয়ে গেছে সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর ফসলের মাঠ, গোচারণ ভূমি, বসতবাড়ী ও মাছের খামার। ত্রাণের জন্য এখন হাহাকার দুর্গত এলাকায়। গোখাদ্যের অভাবে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা নায়েব আলী জানান, ৮৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৭ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। ইতোমধ্যে তীব্র পানির তোড়ে ১৫ হাজার ঘর ভেঙে গেছে। ৬৭৭টি গ্রামের প্রায় ২ লাখ ৪৭ হাজার পরিবার পানিতে নিমজ্জিত। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নতুন কোনো বরাদ্দ না এলেও এখন পর্যন্ত ৭৮৪ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১৯ লাখ টাকা ও ৫ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণের কাজ অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও কোনো ব্যক্তি ৩৩৩ হটলাইনে কল করে জানালে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেবে জেলা প্রশাসন।