ধলাই ডেস্ক: কুষ্টিয়ায় প্রেমিকের সঙ্গে ফুফুর অন্তরঙ্গ মুহূর্ত দেখে ফেলায় সাত বছরের শিশু সানজিদা খাতুনকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার ভোরে শিশুটির ফুফু সুমনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এর আগে, এ ঘটনায় ইবি থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের মা রেবেকা খাতুন। নিহত সানজিদা কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পূর্ব আব্দালপুর গ্রামের কাচারিপাড়ার সোহাগ হোসেনের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানায়, রোববার দুপুরে বাড়ি থেকে বের হয় সানজিদা। এরপর বাড়ি না ফেরায় বিকেলে হরিনারায়ণপুর বাজারে মাইকিং করেন বাবা সোহাগ হোসেন। এছাড়া পরিবারের অন্যরা তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু কোনো সন্ধান মেলেনি। সন্ধ্যার পর কাচারি মাঠের পাশে পরিত্যক্ত একটি টয়লেটে শিশুর লাশ দেখে স্বজনদের খবর দেন প্রতিবেশীরা। পরে স্বজনরা সানজিদার লাশ শনাক্ত করেন।
তারা আরো জানায়, সানজিদার লাশটি মেঝেতে পড়েছিল। তার হাত-পা মোড়ানোসহ মাথা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, রোববার ফুফুর অন্তরঙ্গ মুহূর্ত দেখে ফেলায় প্রথমে বিষপান পরে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে সানজিদাকে হত্যা করেন সুমনা খাতুন। এরপর লাশ কাচারি মাঠের পাশে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার একটি পরিত্যক্ত টয়লেটে লুকিয়ে রাখেন।
ইবি থানার ওসি মুস্তাফিজুর রতন জানান, পরিত্যক্ত একটি টয়লেট থেকে সানজিদার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা করেন নিহতের মা। পরে সোমবার ভোরে মামলার প্রধান আসামি সুমনাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি নিজের দোষ স্বীকার করেছেন।