আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিক্ষোভে বেসামাল নাইজেরিয়া। ডিডাব্লিউর প্রতিনিধি ফ্যানি প্যাসকার জানিয়েছেন, লাগোসে বিশৃঙ্খলা চলছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে গুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। একটি কারাগারে আগুন লেগেছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় লুটপাট শুরু হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম এএফপির খবরে জানা যায়, এ পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মোট ৫৬ জন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে মঙ্গলবার নিহত হয়েছেন ৩৮ জন।
পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই বিশৃঙ্খলাকারীরা আলাদা। বিক্ষোভকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।
পুলিশি বাড়াবাড়ির প্রতিবাদেই বিক্ষোভ চলছে। গত এক সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভক্রমশ তীব্র হয়েছে। তবে এই বিক্ষোভ চলার সময়ই লুটপাট হচ্ছে শপিং মল, এটিএম, এমনকী বাড়িতেও। ডিডাব্লিউর প্রতিনিধি প্যাসকার বলেছেন, যারা গোলমাল করছেন, তারা সরকারের মদতপুষ্ট। এটা বিক্ষোভকে বানচাল করে দেয়ার সরকারি ছক।
১৯৯৯ সালে সামরিক শাসনের অবসানের পর নাইজেরিয়াতে এত বড় বিক্ষোভ আর হয়নি। প্রেসিডেন্ট বুহারি বলেছেন, অবিলম্বে বিক্ষোভ বন্ধ করতে হবে এবং বিক্ষোভকারীদের সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। তিনি বিক্ষোভকারীদের নিয়ে প্রচুর কথা বললেও নিরাপত্তা বাহিনী কেন শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে গুলি চালাল তার কোনো ব্যাখ্যা দেননি। বিক্ষোভ থামাতে ৪৮ ঘণ্টার কার্ফিউ চালু হয়েছে।
হিউমান রাইটস ওয়াচ অসমর্থিত খবর উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, মঙ্গলবার সেনাই গুলি চালিয়েছিল। নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলি এর তীব্র নিন্দা করেছে।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে