জমি রেজিস্ট্রেশনের ৮ দিনের মধ্যেই নামজারি

প্রকাশিত: ৬:১৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৯, ২০২০
সংগৃহীত

ধলাই ডেস্ক: জমি রেজিস্ট্রেশন ও নামজারি কার্যক্রম সমন্বয় সাধনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর ফলে জমি রেজিস্ট্রেশনের ৮ দিনের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নামজারি হয়ে যাবে।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে জমি রেজিস্ট্রেশন ও নামজারি কার্যক্রম সমন্বয় সাধনে ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জমি রেজিস্ট্রেশন ও নামজারি কার্যক্রম সমন্বয় সাধনের প্রস্তাব অনুমোদনের ফলে দেশের মানুষ, সর্বসাধারণ ও ইনভেস্টর সবার জন্য নতুন একটি অধ্যায় সৃষ্টি হল। যুগান্তকারী এ সিদ্ধান্তের ফলে মামলা-মোকাদ্দমাও কমে আসবে।

চলতি বছরের প্রথমদিকেই কীভাবে জমি রেজিস্ট্রেশন ও নামজারি আরো সহজ করা যায়, সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, মানুষের যেন হয়রানি না হয়, সময় যেন না লাগে। এখনকার পদ্ধতি হলো ভূমি রেজিস্ট্রেশন ও নামজারি আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে সাব-রেজিস্টার অফিস ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন উপজেলা সার্কেল ভূমি অফিস থেকে সম্পন্ন হতো। দুটি মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকার ফলে সব সময় কমিউনিকেশন করা ডিফিকাল্ট ছিলে। এ কারণে দীর্ঘসূত্রিতা ছিল এবং রেজিস্ট্রেশনেও অস্পষ্টতা ছিল। যেকোনো জমি যে কেউ রেজিস্ট্রেশন করতে পারত।

তিনি জানান, এখন থেকে সাব-রেজিস্টার অফিস ও এসিল্যান্ড অফিসের মধ্যে একটা ইন্টারনাল সফটওয়্যার থাকবে। বাংলাদেশের সব এসিল্যান্ড অফিসে ৪ কোটি ৩০ লাখ রেকর্ড অনলাইনে চলে এসেছে। এখন থেকে সাব-রেজিস্টার অফিস ও এসিল্যান্ড অফিস একজন অপরজনের সার্ভারে ঢুকতে পারবে। যখন কারো কাছে জমি রেজিস্ট্রেশনের জন্য যাবে, তখন সাব-রেজিস্টার সঙ্গে সঙ্গে রেজিস্ট্রি করে দেবে না, তিনি অনলাইনে এসিল্যান্ডের অফিস থেকে রেকর্ড অব রাইটস স্ট্যাটাস্টিকসটা জানবেন।

এতদিন দু’টি দলিল করতে হতো উল্লেখ করে সচিব বলেন, এখন থেকে তিনটি দলিল করতে হবে। বাড়তি একটা এসিল্যান্ড অফিসও পাবে। যেহেতু এসিল্যান্ড দলিল অনলাইনে পেয়ে যাচ্ছে এবং তার কাছ থেকেই জমির ভেরিফিকেশন করে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে, তাই এসিল্যান্ডের আর বাড়তি কিছুই লাগবে না। তিনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সফটওয়্যার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই নামজারি সম্পন্ন করবে। এক্ষেত্রে কাউকে ডাকতে হবে না। এটা ম্যাক্সিমাম আটদিন সময় দেয়া হয়েছে। তবে ৮ দিনও সময় লাগবে না। এই ৮ দিনের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নামজারি হয়ে যাবে। ১৭টি উপজেলায় এরই মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, অনেকে জমি রেজিস্ট্রেশন করেন, নামজারি করেন কিন্তু রেকর্ড করেন না। এখন থেকে রেকর্ডটাও করতে হবে। এসিল্যান্ডের দায়িত্ব থাকবে মাসিক রিপোর্ট দেয়া এবং কতটা নামজারি হল ও কতটা রেকর্ড হল।