অসুস্থ তাই নবজাতককে হত্যা করে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দিলো মা-বাবা

প্রকাশিত: ৫:০৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৮, ২০২০
সংগৃহীত

ধলাই ডেস্ক: চুরি হওয়ার ৩৬ ঘণ্টা পর ১৫ দি‌নের নবজাতক সোহানের মর‌দেহ বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত ১টায় পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।

এর আগে সোহানের বাবা সোহাগ হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অপরদিকে অসুস্থতার জন্য শিশুটির মাকে প্রথমে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকেও গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

শুক্রবার সকালে সদর থানা পুলিশ ও পিবিআই পৃথকভাবে চুরি হওয়া শিশুটি উদ্ধারে কাজ শুরু করে। দুপুরে শিশুটির বাবা সোহাগ হোসেন সদর থানায় একটি জিডি করেন।

সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত এসপি মীর্জা সালাহ উদ্দীন জানান, পুলিশ এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে শিশুটির মা ও বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানান, যে শিশুটি খুবই অসুস্থ ছিল। সে জন্ডিস, রিকেট, নিউমোনিয়া ও হার্টের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিল।

মীর্জা সালাহ উদ্দীন বলেন, এ সমস্ত কারণে ও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তারা স্বামী-স্ত্রী মিলে শিশুটিকে হত্যা করে মরদেহ গুমের ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।

তিনি আরো জানান, শিশুটির বাবা সোহাগ হোসেন শিশুটিকে মেরে তাদের বাড়ির সামনের সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে ফেলে দেয়। আর এ কাজে সহযোগিতা করে তার মা ফাতেমা খাতুন। বিষয়টি জানার পর শুক্রবার রাত ১টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।