আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কাতারের সঙ্গে আরব দেশগুলোর সংকট শেষের দিকে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান। প্রায় তিন বছর আগে কাতারের ওপর অবরোধ আরোপ করে সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসর। তারপর থেকে এই দেশগুলোর সঙ্গে কাতারের কূটনৈতিকসহ সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়।
শুক্রবার ইতালিতে ভূমধ্যসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে এক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বাৎসরিক ও বৈঠকে প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান বলেন, ‘গত কয়েকদিনে আমরা বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সম্পন্ন করেছি।’
তবে সৌদির পক্ষ থেকে সংকট সমাধানের আশা প্রকাশ করা হলেও কাতারের ওপর অবরোধ আরোপকারী বাকি দেশগুলো অর্থাৎ বাহরাইন, মিসর এবং আরব আমিরাতের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। এক বছরের বেশি সময় আগেও কাতার সংকট সমাধানের আশা দেখা দিয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।
কিন্তু এবারের পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। কাতার সংকটে মধ্যস্থতাকারী দেশ কুয়েতের শীর্ষ কূটনীতিকরা চলমান আলোচনাকে গঠনমূলক এবং ফলপ্রসূ বলে আখ্যা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই এ বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন প্রিন্স ফয়সাল।
শুক্রবার কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আহমেদ নাসের আল সাবাহ বলেন, এই সংকট সমাধানে বেশ অগ্রগতি হয়েছে। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সম্প্রতি ফলপ্রসূ আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে এবং সব পক্ষই একটি চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
ওই বিবৃতির পর কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি কুয়েতকে মধ্যস্থতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এক টুইট বার্তায় আল থানি বলেন, ‘উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যকার চলমান সংকট সমাধানে কুয়েতের এই বিবৃতি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। মধ্যস্থতাকারী দেশ হিসেবে কুয়েতের এবং এই সংকট সমাধানের চেষ্টা করায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
এর আগে শুক্রবার সকালেই আল থানি বলেছিলেন যে, কূটনৈতিক সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি যে, আমরা এই সংকট সমাধান করতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি নিরাপত্তা এবং আমাদের জনগণের স্বার্থে এই অঞ্চলের সংকট শেষ হওয়া দরকার। পারস্পরিক সম্মানের ওপর ভিত্তি করে আমাদের এই সংকট নিরসন করা প্রয়োজন।’
যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরেই উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যকার সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছে। এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, ‘আমরা খুবই আশাবাদী যে, আরব দেশগুলোর সঙ্গে কাতারের যে সংকট রয়েছে তার সমাধান হবে। আমরা এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’
২০১৭ সালের ৫ জুন সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন এবং ইরানের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার অভিযোগ এনে কাতারের ওপর অবরোধ আরোপ করে চার আরব দেশ। তবে প্রথম থেকেই এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে দোহা।
সূত্র: জাগো নিউজ…