ধলাই ডেস্ক: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের এক মাদরাসাছাত্রীকে অপহরণের পর ৬ দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে মো. আতিক মিয়া নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত আতিক মিয়া বড়হিত ইউনিয়নের চণ্ডিপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
মঙ্গলবার গাজীপুর থেকে উদ্ধারের পর ওইদিন রাতেই আতিক মিয়া ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগী মাদরাসাছাত্রীর ভাই।
বুধবার দুপুরে ওই ছাত্রীকে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠায় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, বিয়ের প্রলোভনে দেখিয়ে প্রায়ই ওই মাদরাসাছাত্রীকে উত্যক্ত করত আতিক। বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ৩০ ডিসেম্বর রাতে প্রাকৃতিক ডাক সারতে ঘরের বাইরে গেলে ওত পেতে থাকা আতিক তার দলবল নিয়ে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে।
পরদিন আতিক ফোন করে জানায় বিয়ে দিলে ওই ছাত্রীকে ফেরত দেয়া হবে। এরপর আর কোনো ধরনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় দুদিন পর ঈশ্বরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দেন মাদরাসাছাত্রীর ভাই। পরে তদন্তে নামে পুলিশ।
এ অবস্থায় অপহরণের স্বীকার ওই ছাত্রী বাড়িতে ফোন করে জানান, তাকে ধর্ষণের পর আতিক গাজীপুরের একটি সড়কে রেখে পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তিনি তার ভাইয়ের বাসায় আশ্রয় নেন। খবর পেয়ে মঙ্গলবার ঈশ্বরগঞ্জ থানা থেকে একদল পুলিশ গিয়ে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে।
ওই ছাত্রীর বরাত দিয়ে পুলিশ আরো জানায়, বিয়ের প্রলোভনে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে আতিক। এরপর কাজি অফিসে নিয়ে বিয়ের কথা বলে মহাসড়কে রেখেই পালিয়ে যায় সে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল কাদির মিয়া বলেন, এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিযুক্ত আতিকসহ অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।