ধলাই ডেস্ক: বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ কোটি ৩৫ লাখ ৩৩ হাজার ৪৭২ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন দুই লাখ ২ হাজার ৪০৭ জন। আর সুস্থতা লাভ করেছেন ৬ কোটি ৬৮ লাখ ১২ হাজার ৬২৩ জন।
শুক্রবার সকালে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত জরিপকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ওয়েবসাইটটির তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্রে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৩৮ লাখ ৪৮ হাজার ৪১০ জন। আর এই মহামারিতে দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৯৯৪ জনের। আর সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৪১ লাখ ১২ হাজার ১১৯ জন।
আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে থাকলেও মৃত্যু বিবেচনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর ব্রাজিলের অবস্থান রয়েছে। লাতিন আমেরিকার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩ লাখ ২৬ হাজার ১১৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৭ হাজার ১৬০ জনের। আর সুস্থ হয়েছেন ৭৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭০৩ জন।
আক্রান্তের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভারত মৃত্যু বিবেচনায় আছে তৃতীয় স্থানে। এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৫ লাখ ২৮ হাজার ৫০৮ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৫১ হাজার ৯৫৪ জনের। আর সুস্থ হয়েছেন এক কোটি এক লাখ দুই হাজার ৮২ জন।
মৃত্যু বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী মেক্সিকো চতুর্থ স্থানে থাকলেও আক্রান্ত বিবেচনায় দেশটির অবস্থান ১৩ নম্বরে। মেক্সিকোতে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৮৮ হাজার ৩৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৯১৬ জনের। এই সংক্রামক ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন ১১ লাখ ৮৫ হাজার ৬২১ জন।
যুক্তরাজ্য মৃত্যু ও আক্রান্ত বিবেচনায় রয়েছে পঞ্চম স্থানে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৩২ লাখ ৬০ হাজার ২৫৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৮৬ হাজার ১৫ জনের। আর সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ৬ হাজার ৯৬৭ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের শেষের দিকে চীনের উহান শহর থেকে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) বিশ্বের ১৯৯ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে লকডাউনসহ নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। পরে লকডাউন শিথিল করলেও স্বাস্থ্যবিধির ওপর জোর দেয়া হয়। ভাইরাস মোকাবিলায় ২০২০ শুরু থেকেই চিকিৎসা বিজ্ঞানারী ভ্যাকসিন আবিষ্কারের কাজ শুরু করেন। অবশেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার, অক্সফোর্ড, মর্ডানাসহ কয়েকটি কোম্পানি করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে সমর্থ হয়েছে। এরই মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরি ভিত্তিতে ফাইজারের ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমতি দেয়।