ধলাই ডেস্ক: ভোলা সদর হাসপাতালে ডাক্তারের অনুপস্থিতিতে প্রসূতিকে সিজার করেছেন নার্স। এ সময় নবজাতকের মাথা ছিঁড়ে যাওয়ায় অপারেশন থিয়েটারে প্রসূতিকে রেখেই পালিয়ে যান তারা।
এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় প্রসূতিকে মারধরের অভিযোগও পাওয়া গেছে। শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, মরা বাচ্চা নিয়েই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ওই প্রসূতি। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।
ওই প্রসূতির নাম রহিমা বেগম। তিনি ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের চরকলি গ্রামের মো. জুয়েলের স্ত্রী।
প্রসূতির স্বামী জানান, শনিবার সন্ধ্যায় তার স্ত্রীর প্রসব ব্যথা ওঠে। অবস্থা খারাপ দেখে তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে প্রথমে নার্সরা রোগী দেখে জানান নরমাল ডেলিভারিতে সন্তান হবে। পরে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। এরপর ডেলিভারি করতে গিয়ে নবজাতকের গলাসহ মাথা ছিঁড়ে ফেলেন নার্স দেবি।
রোগীর অবস্থা আশঙ্কজনক দেখে সিজার করা লাগবে বলে ডেলিভারি শেষ না করেই অপারেশন থিয়েটারে রেখে নার্সরা পালিয়ে যান। পরে অন্য নার্সরা এসে রোগীকে বেডে নিয়ে যান।
ভোলা সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ বলেন, শনিবার রাতে পেটের ভেতর মৃত বাচ্চা নিয়ে হাসপাতালে একজন রোগী ভর্তি হন। এ সময় তার প্রসব ব্যথা ছিল। নার্সরা তার নরমাল ডেলিভারি করেন। ডেলিভারি শেষ করার আগে রোগীর জটিলতা দেখা দেয়। রোববার সকালে কনসালটেন্ট ডাক্তার এসে রোগীর চিকিৎসা করেন।