ধলাই ডেস্ক: বরগুনার তালতলীতে ঘুমন্ত স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করেছেন মানসিক ভারসাম্যহীন স্বামী। আহত সুমাইয়াকে উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেছেন স্বজনরা।
বুধবার রাতে ওই উপজেলার দক্ষিণ গাববাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আব্দুল করিম খন্দকারকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, কয়েক বছর আগে একই উপজেলার কড়াইবাড়িয়ার সিদ্দিক হাওলাদারের মেয়ে সুমাইয়া বেগমকে বিয়ে করেন আব্দুল কবিম খন্দকারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ভালোই চলছিল তাদের সংসার। তিন বছর আগে আব্দুল করিম মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। এরপর থেকে সুমাইয়ার জীবনে নেমে আসে বিপর্যয়। স্বামীর এমন অবস্থায় দুই সন্তানকে নিয়ে বিপাকে পড়েন সুমাইয়া।
স্থানীয়রা জানায়, করিম খন্দকার মানসিক ভারসাম্য হারানোর পর বিভিন্ন সময় স্ত্রীকে কারণে-অকারণে মারধর করতেন। বুধবার রাতে দুজন ঘুমিয়ে ছিলেন। গভীর রাতে করিম খন্দকার কিছু না বলেই ঘুমন্ত সুমাইয়াকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকেন। খবর পেয়ে স্বজনরা রাতেই সুমাইয়াকে উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে যান। তার শরীরের ২০-২৫টি স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছেন বলে জানান চিকিৎসক।
তালতলী থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান মিয়া জানান, ওই ঘটনায় আব্দুল করিম খন্দকারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা করেন আহত সুমাইয়ার বড় ভাই মো. হানিফ। পরে পুলিশ করিমকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।