ধলাই ডেস্ক: মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার চর নয়াডাঙ্গী গ্রামে এক নারীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে পাঁচ সন্তানের জনক নুরু মিয়ার বিরুদ্ধে। এতে ওই নারী একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। পরে সন্তানের পিতৃপরিচয়ের দাবি জানালে নুরু মিয়ার সঙ্গে তার বিয়ে দেন স্থানীয় গণ্যমান্যরা।
ধর্ষক নুরু মিয়া ওই গ্রামের মাহাম মিয়ের ছেলে। বিয়ের এক বছর না যেতেই ওই সন্তানকে অস্বীকার করে স্ত্রীকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে বিচ্ছেদ ঘটান তিনি।
ঘটনাটি বছর দশেক আগের। সেই থেকে কখনো গার্মেন্টসে, কখনো অন্য বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন ধর্ষণের শিকার নারী। তার অভিযোগ, বিচ্ছেদের পর নুরু মিয়া তাকে বিভিন্ন সময় উত্যক্ত ও একাধিকবার ধর্ষণ করেন। দুই বছর আগে তার ধর্ষণের কারণে আরো একটি সন্তানের জন্ম দেন ওই নারী। দুই সন্তানের পিতৃপরিচয় না থাকায় বর্তমানে তিনি সমাজচ্যুত হয়ে পড়েছেন। দুই ছেলে-মেয়ে যখন তাদের বাবার কাছে যায়, তখন নুরু মিয়া তাদের মেরে তাড়িয়ে দেন। তার কারণে মা ও দুই সন্তানকে সমাজের কাছে হেয় হতে হচ্ছে। কোনো উপায় না পেয়ে স্ত্রীর মর্যাদা চেয়ে ইউনিয়নের গ্রাম আদালতে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযুক্ত নুরু মিয়া বলেন, ১০ বছর আগে ওই নারী গর্ভের সন্তানের জন্য আমাকে দায়ী করা হয়েছিল। তখন আমি বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছিলাম। পরে তাকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে বিচ্ছেদ করেছি। বছর দুয়েক আগে আবারো ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। তখনও আমাকে দায়ী করে সে। ওই দুই ছেলে-মেয়ের বাবা আমি নই।
জয়মন্টপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার শাহাদাত হোসেন বলেন, ওই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে নুরু মিয়াকে ডেকে আনা হয়েছিল। সে অস্বীকার করেছে। ভিকটিমকে আইনি প্রক্রিয়ায় ওসিসিতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।
উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. ইমানুর রহমান বলেন, অভিভাবকহীন শিশুদের দায়িত্ব আমাদেরই নিতে হয়। পিতৃপরিচয় প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে নির্যাতিত নারী প্রচলিত আইনে মামলা করতে পারেন।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রওশন আরা বলেন, দুইপক্ষকে ডেকে সমাধানের চেষ্টা করা হবে। মীমাংসা না হলে সন্তান দুটির পিতৃপরিচয় প্রতিষ্ঠার জন্য ডিএনএ টেস্টের ব্যবস্থা করা হবে।