কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজেরর কমলগঞ্জে কঠোর লকডাউনের মধ্যে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে কর্মহীন মানুষের মাঝে কিস্তি আদায়ে ব্যস্ত হয়ে বেসরকারি সংস্থা ব্রাক সমিতি।
ঋণের কিস্তি পরিশোধে বিপাকে পড়ে হিমশিম খাচ্ছেন
কর্মহীন ঋণগ্রহীতারা । ছোটখাটো ব্যবসায়ীরা এসকল সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে তাদের ব্যবসার কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। এ ছাড়া অনেকে সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে হাঁস-মুরগি লালন পালন করছেন।
করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকে মৃত্যু ও আক্রান্তের হার বাড়তে থাকায় সরকার দেশজুড়ে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে।
ফলে সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নিন্মআয়ের মানুষের আয়-রোজগার এরকম বন্ধ হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে কমলগঞ্জের বিভিন্নস্থানে ব্রাক সমিতির কর্মিরা ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহিতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কিস্তি আদায় করছে চাপ প্রয়োগ করে বাধ্য করছেন ঋণ পরিশোধে। এতে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মহীন ঋণগ্রহীতারা।
নাম প্রাকাশে অনিচ্ছুক ঋণ গ্রহিতা প্রতিনিধিকে জানান, লকডাউনের মধ্যে কর্ম নেই ব্রাকের কিস্তি জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। কিস্তি পরিশোধ না করলে আর ঋণ দেয়া হবেনা বলে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করা হচ্ছে।
সোমবার (৫জুলাই) উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের দেওড়াছড়া চা- বাগানে শমশেরনগর ব্রাক সমিতির মাঠকর্মী শিব্রা সরকার ঋণ গ্রহীতাদের কাছ থেকে কিস্তি আদায় করতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিস্তি আদায় না করলে অফিস থেকে বেতন দেওয়া হয়না। তিনি আরও বলেন আমি কারও কাছ থেকে জোরপূর্বক কিস্তি আদায় করছিনা, কেউ নিজ ইচ্ছায় দিলে তা গ্রহণ করছি।
এ বিষয়ে শমশেরনগর ব্রাক অফিসের ম্যানেজার সাইদুর রহমান বলেন অফিসে ফোন করে কিস্তি নেয়ার কথা অনুযায়ী আমরা লোক পাঠিয়েছি।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, ব্রাকের মৌলভীবাজার জেলা অফিস কে বলা হয়েছে, কিস্তি আদায় বন্ধ রাখার জন্য। না হলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।