ধলাই ডেস্ক: টানা ১৯ দিন পর শিথিল হলো বিধিনিষেধ। সড়কে গণপরিবহন চলাচলে এখন আর কোনো বাধা নেই। চলবে লঞ্চ-ট্রেনও। রাত পোহালেই চালু হবে সরকারি-বেসরকারি অফিসসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান। খুলবে শপিংমল ও দোকানপাট।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ১ জুলাই থেকে শুরু হয় বিধিনিষেধ। তবে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই ভোর ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছিল। এরপর ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ফের বিধিনিষেধ কার্যকর করা হয়। পরে বিধিনিষেধের মেয়াদ আরো সাতদিন বাড়িয়ে ১০ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়।
বিধিনিষেধ বাড়ানো নিয়ে ৫ আগস্ট প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৫ আগস্ট রাত ১২টা থেকে ১০ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত এ বিধিনিষেধ আরোপের সময়সীমা বাড়ানো হলো। এরপর সর্বশেষ ৮ আগস্ট বিধিনিষেধ শিথিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী মঙ্গলবার রাত ১২টার পর থেকে বিধিনিষেধ শিথিল কার্যকর হয়েছে।
যা যা খুলছে:
১১ আগস্ট থেকে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে।
সড়ক, রেল ও নৌপথে আসনসংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন বা যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সড়ক পথে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন (সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সংশ্লিষ্ট দফতর বা সংস্থা, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিদিন মোট পরিবহনসখ্যার অর্ধেক চালু করতে পারবে।
এছাড়া শপিংমল, মার্কেট ও দোকানপাট সকাল ১০টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা যাবে। সব শিল্প-কলকারখানা চালু থাকবে। আর খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁয় অর্ধেক আসন খালি রেখে সকাল আটটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা যাবে। এছাড়া আদালতের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।
সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে করতে হবে। গণপরিবহন, বিভিন্ন দফতর, মার্কেট ও বাজারসহ যেকোনো প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।