ধলাই ডেস্ক: বাড়ির পাশেই ফুফুর বাড়ি। সেই সুবাদে প্রায়ই ফুফুর বাড়িতে খেলতে যেত ছয় বছরের শিশু জান্নাতুল ফেরদৌস জান্নাত। বুধবার বিকেলেও খেলতে যায় শিশুটি। আর এ যাওয়াই কাল হলো তার।
আপন ভাতিজিকে মাংস খাওয়ানোর কথা বলে রান্নাঘরে নিয়ে যান ফুফু জহুরা খাতুন। এরপর বটি দিয়ে এক কোপে জান্নাতের গলা কাটেন তিনি। প্রাণে মেরেই ক্ষান্ত হননি, লাশটি ব্যাগে ভরে ফেলে দেন ধানক্ষেতে।
ঘটনাটি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার। আটকের পর পুলিশের কাছে আপন ভাতিজিকে হত্যার কথা স্বীকার করেন ঘাতক জহুরা খাতুন। বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কুষ্টিয়ার এসপি খাইরুল আলম।
নিহত জান্নাত মিরপুর উপজেলার মশান শাহাপাড়া গ্রামের জাহিদুল ইসলামের মেয়ে। অভিযুক্ত জহুরা একই গ্রামের আনিরুল ইসলামের স্ত্রী ও জাহিদুল ইসলামের আপন বোন।
এসপি খাইরুল বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে জান্নাতকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন জহুরা খাতুন। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বটিও উদ্ধার করা হয়েছে।
এসপি বলেন, বুধবার বিকেলে খেলাধুলা করতে বাড়ির পাশে ফুফু জহুরার বাড়ি যায় শিশু জান্নাত। এরপর মাংস খাওয়ানোর কথা বলে তাকে রান্নাঘরে নিয়ে যান জহুরা। এ সময় জান্নাতকে তিনি বলেন- ‘মাংস রান্না প্রায় শেষ পর্যায়ে, তুমি রান্নাঘরে বসো, আমি প্লেট নিয়ে আসি।’
তখন রান্নাঘরের চুলার পাশে বসে ছিল জান্নাত। কিছুক্ষণ পর বটি নিয়ে এসে এক কোপে গলা কেটে জান্নাতকে হত্যা করেন জহুর। এরপর বাজারের ব্যাগে ভরে বাড়ির পাশে ধানক্ষেতে লাশ ফেলে আসেন।
তিনি আরো বলেন, রাতে ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে মিরপুর থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশসহ আমরা তদন্ত শুরু করি। শিশুটির লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছিল। পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছিল। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে মিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন শিশুটির বাবা।
পারিবারিক বিরোধের জেরে কয়েকদিন আগে জহুরাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন জান্নাতের মা আঁখি বেগম। এতে ক্ষুব্ধ হন তিনি। এরই জেরে ভাতিজিকে হত্যা করেন জহুরা।