ধলাই ডেস্ক: আজ মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। সারাবিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশেও দিবসটি নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযথভাবে পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংক্ষিপ্ত পরিসরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘লিটারেসি ফর হিউম্যান-সেন্টার্ড রিকভারি: ন্যারোয়িং দ্যা ডিজিটাল ডিভাইড’।
প্রাথমিক এবং গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় পর্যায়ে কাল ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে দিবসটির কর্মসূচি উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে অনুষ্ঠানটি ভার্চূয়ালি উদ্বোধন করবেন।
প্রাথমিক এবং গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন মন্ত্রণালয়ের সচিব। অনুষ্ঠানে ইউনেস্কো মহাপরিচালকের বক্তব্য পেশ করা হবে।
আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্ব তুলে ধরে এদিন ক্রোড়পত্র প্রকাশ ও সংবাদ সম্মেলন করা হবে। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে আলোচনা এবং মোবাইল ফোনে ক্ষুদে বার্তা প্রেরণ করা হবে।
এছাড়া দেশের প্রত্যেক জেলা প্রশাসক স্বাস্থ্যবিধি মেনে আলোচনা সভা করবেন। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
মন্ত্রণালয় জানায়, ৩৩ দশমিক ৭৯ মিলিয়ন কিশোর-কিশোরী ও বয়স্ক নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে মৌলিক সাক্ষরতা দেওয়া হবে। মৌলিক সাক্ষরতা অর্জনকারী ৫ মিলিয়ন নব্যসাক্ষরকে কার্যকর দক্ষতা প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
ইউনেস্কো’র উদ্যোগে ১৯৬৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস’ পালন করা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার প্রতিবছর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালন করে আসছে বাংলাদেশ।