ধলাই ডেস্ক: মুঠোফোনে প্রেম। তবে ছয় মাস ধরে কথা বললেও সুযোগ মেলেনি দেখা করার। অবশেষে দীর্ঘ প্রায় ১৮ মাস পর স্কুল খুলতেই প্রেমিকার টানে চলে আসেন প্রেমিক। এরপর একসঙ্গে পদ্মা নদীর তীরে ঘুরতে যান। পদ্মার তীরে যেতেই ভয়ংকর হয়ে ওঠেন প্রেমিক।
ঘুরতে নিয়ে আসা প্রেমিকাকে নির্জনে কুপ্রস্তাব দেওয়ার পাশাপাশি শরীরে দেন হাত। এমনকি গোপনাঙ্গেও হাত দেন। বাধা দিলেও হয়ে ওঠেন মরিয়া। তাই নিজের সম্ভ্রম রক্ষা করতে পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দেন প্রেমিকা। তবে স্থানীয়দের উদ্ধার তৎপরতায় প্রাণে বাঁচলেও তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাটি রাজবাড়ীর। এ ঘটনায় সোমবার সকালে ১৭ বছর বয়সী প্রেমিক মো. ইব্রাহিম খলিলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগী ছাত্রী।
মামলার পর ইব্রাহিমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি রাজবাড়ী শহরের শ্রীপুর নোয়াখালী পাড়ার আবুল হোসেনের ছেলে। আর ভুক্তভোগী ছাত্রী শহরের একটি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়ছেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রী জানান, ছয় মাস আগে ইব্রাহিম খলিলের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর তারা মুঠোফোনে কথা বলেন। একপর্যায়ে তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। করোনার কারণে দীর্ঘ দেড় বছর পর স্কুল খুলেছে রোববার। ওইদিন দুপুর ১টার দিকে তার স্কুলের সামনে আসেন ইব্রাহিম।
এরপর দুজনে জেলা শহরের গোদার বাজার সংলগ্ন পদ্মা নদীর তীরে ঘুরতে যান। একপর্যায়ে তাকে তীরে থাকা মোস্তফার ইটভাটার পূর্ব পাশের নির্জনে নিয়ে যান ইব্রাহিম। সেখানে তাকে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার পাশাপাশি শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। বাধা দেওয়ার পর ইব্রাহিম আরো বেশি মরিয়া হয়ে ওঠেন।
একপর্যায়ে ইব্রাহিমের হাত থেকে বাঁচতে পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দেন তিনি। ওই সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। তবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বর্তমানে তিনি রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গ্রেফতার ইব্রাহিম খলিলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজবাড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন।