
ধলাই ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বলেছেন, দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদনের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। মহামারি করোনা আবির্ভাবের পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্যাকসিন আবিষ্কার ও উৎপাদনের গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে। বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ভ্যাকসিন নিয়ে অধিকতর গবেষণা ও উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তা আরো বেশি অনুভূত হচ্ছে।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। সংসদে টাঙ্গাইল-৭ আসনের সংসদ সদস্য মো. একাব্বর হোসেনের মৃত্যুতে সংসদের রীতি অনুযায়ী শোকপ্রস্তাব গ্রহণের পর আজকের বৈঠক মুলতবি করা হয়। তবে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উত্থাপন করা হয়।
ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট এবং ভ্যাকসিন নীতিমালা প্রণীত হলে যেসব সুবিধা পাওয়া যাবে সেই তথ্যও সংসদে তুলে ধরেন তিনি।
পদ্মাসেতুর ভৌত অগ্রগতি ৮৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে বলে জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেনের প্রশ্নের জবাবে সংসদকে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ভায়াডাক্টসহ ৯ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বাংলাদেশের দীর্ঘতম পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজ চলছে। অক্টোবর ২০২১ পর্যন্ত প্রকল্পের ভৌত কাজ ৮৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী জুনের মধ্যে স্বপ্নের এই সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়। পদ্মাসেতু নির্মিত হলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগব্যবস্থা দ্রুত ও সহজতর হবে। এটি এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গেও যুক্ত হবে, যা প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরে সাবওয়ে (আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো) নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চলছে। অক্টোবর পর্যন্ত সমীক্ষা প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮০ শতাংশ। সম্ভাব্যতা সমীক্ষার মাধ্যমে অ্যালাইনমেন্ট চূড়ান্ত করে যথাসময়ে সাবওয়ে বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে বলে আশা করা যায়।
সরকার প্রধান বলেন, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের নির্মাণকাজও এগিয়ে চলেছে। অক্টোবর ২০২১ পর্যন্ত ৭৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।