ধলাই ডেস্ক: স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ভাড়া নেন বিলাসবহুল লঞ্চের কেবিন। রাতে ছিলেন একসঙ্গেই। সকালে লঞ্চটি ঘাটে বেড়ার পর সবাই নেমে গেলেও সেই কেবিনে ঝুলছিল তালা। মনের সন্দেহে আরেকটি চাবি দিয়েই খোলা হলো কেবিন। আর তালা খুলতেই কেবিরের খাটে পড়ে থাকতে দেখেন এক তরুণীর লাশ।
শুক্রবার সকালে ঢাকা-বরিশাল নৌ-রুটের যাত্রীবাহী বিলাসবহুল এমভি কুয়াকাটা-২ লঞ্চ থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লঞ্চটির নিচতলায় পেছনের দিকে স্টাফ (গ্রিজার/লস্কর) কেবিন থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নৌ-পুলিশ বরিশাল অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান জানান, তরুণীকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তার সঙ্গে থাকা তরুণকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সেই তরুণের সন্ধান করা হচ্ছে। লাশ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
লঞ্চ টার্মিনাল ও লঞ্চের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে সঙ্গে থাকা ব্যক্তিকে শনাক্ত করার পাশাপাশি তরুণীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে বলেও জানান সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান।
কুয়াকাটা-২ লঞ্চের স্টাফ সোহাগ বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে দুই তরুণ-তরুণী ১৮০০ টাকায় ভাড়া নেন স্টাফ কেবিন। লঞ্চটি ছাড়ার সময়ও তারা একসঙ্গে ছিলেন। রাত ১১টার দিকে একজন লস্কর তাদের টিকিট দিতে কেবিনে গেলে তাদের স্বাভাবিক অবস্থাতেই দেখতে পান।
সোহাগ আরো বলেন, শুক্রবার সকালে লঞ্চটি বরিশাল ঘাটে ভেড়ে। সব যাত্রী নেমে গেলেও ওই কেবিনের যাত্রী বের না হওয়ায় আমরা গিয়ে দেখি কেবিনের দরজা তালাবদ্ধ। ভেতর থেকে কারো সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। তালা দেখে বুঝেছি হয়তো তারা চলে গেছেন।
কিন্তু সন্দেহ হলে অন্য একটি চাবি দিয়ে তালাটি খুলে দেখি তরুণীর লাশ কেবিনের খাটে পড়ে আছে। বিষয়টি সবাইকে জানালে নৌ-পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। তারা এসে লাশ উদ্ধার করে। রাত তিনটার পর শ্বাসরোধে হত্যা করে পুরুষটি পালিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।