ধলাই ডেস্ক: রাজধানীর মৌচাকে কোচিং সেন্টারে শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের মামলায় কাজী জামাল উদ্দিন আহম্মেদ নামে এক শিক্ষককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিরা আরা এ আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (নিরস্ত্র) শফিকুল ইসলাম শফিক আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আদালতে আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। শনিবার ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আদালতে রমনা মডেল থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা (নারী-শিশু) মকবুলুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ‘৯৯৯’-এ ফোন করেন একজন। তিনি জানান, তার ১১ বছর বয়সী মেয়ে মৌচাক মার্কেটের কাছের এক কোচিং সেন্টারের শিক্ষার্থী। গত বছরের ডিসেম্বরে তিনি তার মেয়েকে সেখানে ভর্তি করান। কয়েকদিন আগে মেয়েটি আবাসিক ওই কোচিং সেন্টার থেকে বাসায় ফেরে। এরপর থেকে সে কোচিং সেন্টারে যেতে চায় না। কোচিংয়ের কথা বললেই সে কান্না করে। পরে মেয়েটি তার মাকে যৌন হয়রানির কথা জানায়।
শিক্ষার্থীর মা অন্য কয়েকজন অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলেন। তারা জানান, আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী ওই কোচিং সেন্টারের প্রধান শিক্ষকের যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। এরপর ওই শিক্ষার্থীর মাসহ কয়েকজন অভিভাবকসহ শনিবার বিকেলে কোচিং সেন্টারে গিয়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সহায়তা চান। রমনা থানা পুলিশের একটি দল ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় এক শিক্ষার্থীর বাবা মামলা করেন।