ধলাই ডেস্ক: ভালোবাসা দিবসে আবেগঘন বক্তব্যের মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। তিনি বলেন, ‘নিপুনের সঙ্গে আমার কোন বিরোধ নেই। সে আমার কলিগ, তার প্রতি ভালোবাসা দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।’
এদিন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের নিয়োগে স্থগিতাবস্থা বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। আপাতত জায়েদ-নিপুন দুজনের কেউই এই চেয়ারে বসছে না, পদটি শূন্য থাকছে।
জায়েদ খান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘নির্বাচিত হয়েও ভালোবাসা দিবসে কোর্টের বারান্দায় আসাটা কষ্টের। আমার মতো কারো ভালোবাসা দিবস আদালতের বারান্দায় না কাটুক। সবাইকে ভালোবাসা দিবস ও বসন্তের শুভেচ্ছা।’
শিল্পী সমিতির নির্বাচনে তার এই প্রতিদ্বন্দ্বীর উদ্দেশ্যে নায়ক বলেন, ‘তাকে (নিপুন) আমি একটা কথাই বলব, আপনি ভোটে পরাজিত হয়েছেন, সেটা মেনে নিয়ে আমাকে শিল্পী সমিতির কাজ করার জন্য সহযোগিতা করেন, তাহলে খুব খুশি হব। ভালোবাসা দিবসে আপনার প্রতি আমার এই বার্তা থাকল।’
এর আগে, চিত্রনায়ক জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে নিপুণ আক্তারকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জয়ী ঘোষণা করে আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট।
৭ ফেব্রুয়ারি জায়েদ খানের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওইদিন বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
পরদিন ৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন। এর শুনানি নিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে ওই পদে দায়িত্ব পালনের ওপর ‘স্থিতাবস্থা’ দেন চেম্বার আদালত। একই সঙ্গে ১৩ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য আবেদনটি পাঠিয়ে আদেশ দেন চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
এর আগে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে নিপুণ আক্তারকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জয়ী ঘোষণা করে আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনের প্রাথমিক ফলে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তবে তার বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনাসহ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগ করেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিপুণ আক্তার।