ধলাই ডেস্ক: বাবার সামনে দিয়ে খালের স্রোতে ভেসে যাচ্ছিল মেয়ে। মেয়েটি দুই হাত তুলে বাঁচার আকুতি জানালেও কিছুই করতে পারেননি তিনি। অসহায়ের মতো চেয়ে চেয়ে দেখলেন হতভম্ব পিতা।
জানা গেছে, পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার সয়না গ্রামের গোপাল চন্দ্র দাসের মেয়ে অন্তরা দাস। তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী অন্তরা বুধবার বিদ্যালয় থেকে ফিরে পাশের খরস্রোতা খালে গোসল করতে যায়। এ সময় স্রোতের টানে ভেসে যায় সে।
খালের মাত্র ২০ গজ দূরে বাবা গোপাল চন্দ্র নৌকায় জাল মেরামত করছিলেন। এ সময় খালের পানির স্রোতে ভেসে যাওয়া মেয়ে হাত নেড়ে বাঁচার আকুতি জানালেও বুঝে ওঠার আগেই তাকে অনেক দূর পানিতে ভাসিয়ে নিয়ে যায়।
ততক্ষণে বাড়ির ও আশপাশের লোকজন জানাজানি হলে তাকে খুঁজতে বেড়িয়ে পড়লে খালের অনেক দূরে একটি ঝোঁপের আড়ালে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাকে। উদ্ধারের পর কাউখালী হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তবে পিতার সামনে মেয়ের এমন অবস্থা দেখে এলাকার মেম্বার ফিরোজ হোসেন জানান, গোপাল চন্দ্র দাস একটু বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী টাইপের। এ নিয়ে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে।