আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্ক ও সিরিয়ায় আঘাত হানা ভয়াবহ ভূমিকম্পে দেশ দুটি মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। ভূমিকম্প আঘাত হানার পাঁচ দিন পরও জীবিতদের আশায় উদ্ধার তৎপরতা চলছে। মৃতদেরও উদ্ধার করা হচ্ছে। আবার এরই মধ্যে ধ্বংসস্তুপে চলছে লুটপাট। এরইমধ্যে ৪৮ জনকে গ্রেফতার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, ধ্বংসস্তুপে লুটতরাজের অভিযোগ এনেছেন আন্তাকিয়ার স্বেচ্ছাসেবীরা।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ৪৮ জন লুটেরাকে গ্রেফতার করেছে কর্তৃপক্ষ। লুটতরাজে অংশ নেওয়া ওই লোকজনকে তদন্তের পর আটটি আলাদা প্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান লুটেরাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
ভূমিকম্পকবলিত এলাকা সফরের সময় তিনি বলেন, ‘আমরা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছি। এর অর্থ হলো, যেসব লোক লুটতরাজ ও অপহরণে জড়িত, তাদের বুঝতে হবে যে রাষ্ট্র তাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে রয়েছে।’
এ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয়েছে তুরস্কের ১০টি অঞ্চল। এসব অঞ্চলে এই পাঁচ দিন ধ্বংসস্তুপের নিচে কারো বেঁচে থাকার আশা ক্ষীণ। তবুও উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যে ২৮ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এরই মধ্যে লুটপাটের ঘটনায় তৎপর হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সোমবারের সাত দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পটি ছিল ১৯৩৯ সালের পর তুরস্কের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ আর এতে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। দেশটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশি বিপর্যস্ত তুরস্কে মারা গেছেন ২৪ হাজার ৬১৭ জন। আর সিরিয়ায় ৩ হাজার ৫৭৫ জন।