ধলাই ডেস্ক: ভোলায় তাবলিগ জামায়াতে আসা ১৫ জন মুসল্লিকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে টাকা-পয়সা লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয়রা অচেতন অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
শুক্রবার সন্ধ্যার পর সবার জ্ঞান ফিরেছে। এর আগে এদিন সকালেই ওই ১৫ মুসল্লিকে অসচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ফজলুর রহমান মাস্টার বাড়ি জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।
মুসল্লিরা হলেন- মো. আনছানার আলী, মাওলানা আরিফ, বাবুল হক, মোখলেছ, সাইদুর রহমান, মেহেরাব আলী, আক্কাস আলী, তোফাজ্জল হোসেন, আক্কাস আলী, মোহাম্মদ হোসেন বাবুল, আবু বকর সিদ্দিক, দেলোয়ার হোসেন, মো. জালাল হোসেন, আবদুল কাদের ও মুফতি আমিনুল ইসলাম। ১৫ জনের মধ্যে দিনাজপুরের ১১ জন, ফরিদপুরের দুজন, কুমিল্লার একজন ও বগুড়ার একজন।
জানা গেছে, এক চিল্লার একটি জামায়াত বুধবার ঢাকার টঙ্গী থেকে ভোলার মারকাজ মসজিদে আসেন তারা। সেখান থেকে পরদিন সকালে তাদের ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ফজলুর রহমান মাস্টার বাড়ি জামে মসজিদে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার রাতে খাবার খেয়ে তারা সবাই মসজিদে ঘুমিয়ে পড়েন। রাতের খাবারের সঙ্গেই নেশাজাতীয় কিছু মেশানো ছিল বলে তারা ধারণা করছেন। শুক্রবার সকালে ফজরের নামাজ পড়তে এসে মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনসহ মুসল্লিরা তাদের অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। এরপর তাদের সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
রাতের যেকোনো সময় তাবলিগের মুসল্লিরা অচেতন হয়ে পড়লে দুর্বৃত্তরা তাদের সঙ্গে থাকা টাকা-পয়সা নিয়ে গেলেও মোবাইল বা অন্য কোনো মালামাল নেয়নি। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী খাবারে নেশা মেশানো হয়েছে বলে ধারণা স্থানীয়দের। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, খাবারের পরপরই অচেতন হয়ে পড়েন সবাই।
সদর থানার ওসি মো. শাহীন ফকির জানান, ঘটনাটি খুবই কষ্টকর। এ ঘটনায় জেলা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও সাইবার ক্রাইম অনুসন্ধান শুরু করেছে।