ধলাই ডেস্ক: খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় চুরি করতে গিয়ে গৃহবধূর চোখে-মুখে সুপারগ্লু দিয়ে আটকে ধর্ষণ করেছে চোর। সোমবার সকালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই গৃহবধূকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে পাইকগাছার রাড়ুলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাইকগাছা থানার ওসি ওবায়দুর রহমান।
ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাতে কে বা কারা মই দিয়ে ছাদে প্রবেশ করে সিঁড়ির দরজা শাবল দিয়ে ভেঙে গৃহবধূর বেডরুমে ঢুকেন। ওই গৃহবধূর স্বামী ব্যবসার কাজে বাইরে থাকায় তিনি একা বাড়িতে ছিলেন। গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে চোখে সুপারগ্লু আঠা দিয়ে ও মুখে টেপ লাগিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে ধর্ষক। পরে একজোড়া সোনার কানের দুল এবং অনুমানিক ২ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। গৃহবধূর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তার স্বামীকে খবর দেন এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
গৃহবধূর স্বামী বলেন, একতলা ছাদের ওপরের সিঁড়ি খোলা ছিল। আমার স্ত্রীর চোখ ও মুখ সুপারগ্লু আঠা দিয়ে আটকে দেয় ধর্ষক। সে বলতে পারছে না, তাই কয়জন চোর ছিল।
পাইকগাছা থানার ওসি ওবায়দুর রহমান বলেন, গৃহবধূকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। ধর্ষণ হয়েছেন কিনা বা সুপারগ্লু দিয়েছে কিনা এখনই বলা যাচ্ছে না। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি নিয়ে উচ্চ পর্যায় তদন্ত শুরু হয়েছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার মো. কনক হোসেন বলেন, সকালে ভুক্তভোগী নারী যখন আসেন তার দুই চোখের পাতা আঠা দিয়ে লাগানো ছিল।
রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। আমরা গাইনি ও চক্ষু বিভাগে তার চিকিৎসা করিয়েছে। বর্তমানে রোগীর জ্ঞান ফিরেছে। তবে এখন পর্যন্ত তিনি সুস্থ নন। তবে আশা করছি দ্রুত তিনি স্বাভাবিক হতে পারবেন।