কমলগঞ্জে প্রবাসী জমি দখল ও প্রাণনাশের চেষ্টার হুমকির অভিযোগ

প্রকাশিত: ৪:১১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় পূর্ব আধকানী গ্রামের প্রবাসীর জমি দখল, চাঁদা দাবী সহ প্রাণ নাশের হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কাছে লিখিত অভিযোগ করে প্রবাসীর স্ত্রী শেফালী বেগম (৩২)।

শেফালীর অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, আদমপুর ইউনিয়নের পূর্ব আদকানী মালদ্বীপ প্রবাসী আব্দুল করিমের স্ত্রী শেফালী বেগম (৩২) ২ সন্তানকে নিয়ে স্বামীর বাড়ীতে বসবাস করছেন। শেফালীর স্বামী প্রবাসে অবস্থান করার কারনে একই গ্রামের প্রতিবেশী চেরাগ মিয়ার ছেলে খলিল মিয়া (৩৪), কমরু মিয়ার ছেলে শুক্কুর মিয়া (৩৫), কমরু মিয়ার ছেলে শফিক মিয়া (৩০), শফিক মিয়া (৩০) ও চেরাগ মিয়া (৫০) গংরা জমি দখল চাঁদা দাবী সহ প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছেন।

শেফালী আরো বলেন, একই গ্রামের মৃত কাছিম মিয়ার মেয়ে মায়া বেগমের নামীয় সরকারী খাস দখলীয় (জালালপুর মৌজার জে.এল.নং-৯২ ,দাগ নং-৪৮৩৩) ২৫ শতক জমি ৭ মার্চ ২০১২ সালে জমি ক্রয় করেন। ক্রয়কৃত জমি চেরাগ মিয়ার ছেলে খলিল তাদের জমি দাবী করে দখলের চেষ্টা করছেন। তারা ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেছে আর চাঁদা দিতে না চাইলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। প্রাণনাশের হুমকির ভয়ের কারনে প্রবাসীর দশম শ্রেণীতে পড়–য়া ছেলেকে নানীর বাড়ীতে (রাজনগর) পাঠিয়ে দিয়েছেন এবং ৪র্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া সন্তানকে নিয়ে প্রাননাশের আতংকের মধ্যে ও স্বামীর বাড়ীতে অবস্থান করছেন। এনিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত ও ইউনিয়ন পরিষদে শালীসের আয়োজন করলে ও তাদের আহবানে সাড়া দিচ্ছেনা খলিল গংরা। এরিমধ্যে সরকারের পট পরিবর্তনের দিন ৫ আগষ্ট বিকালে খলিল গংরা জোর পূর্বক করিমের (ক্রয়কৃত দখলীয়) জমির বেড়া ভাংচুর করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যায়। তাই প্রাণনাশের আতংকে স্থানীয়দের পরামর্শে আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।

সরজমিন পরিদর্শনে গেলে এলাকার মুরব্বী তাহের আলী জালাল, সমির মিয়া ও জইমত আলী বলেন, করিম তার অংশের দখলীয় জমিতে প্রায় ২০/২৫ বছর ধরে বসত বাড়ী তৈরী করে ভোগ দখল করে আসছে। ২০১২ সালে পাশ^বর্তী মৃত কাছিম মিয়ার মেয়ে মায়া বেগমের নামীয় সরকারী খাস দখলীয় (জালালপুর মৌজার জে.এল.নং-৯২,দাগ নং-৪৮৩৩) ২৫ শতক জমি টাকা দিয়ে দখল বুঝে নিয়ে ভোগ দখল করছিল। সম্প্রতি খলিল ক্রয়কৃত জমি তাদের ওয়ারিশানদের এবং বিক্রি করেনি বলে (বিক্রিকৃত) জমি দখল করে নেয়। গ্রামের পঞ্চায়েত ও ইউপি চেয়ারম্যান শালীসের আহবান করলে নানা অজুহাতে খলিল গংরা শালিসে উপস্থিত হতে চায় না। তাই আমরা করিমের বউকে আইনের আশ্রয় নিতে বলেছি।

অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত খলিলের বাড়ীতে গেলে খলিল দৌড়ে বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়। তবে খলিলের মা অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, ‘এই জমি তাদের ওয়ারিশানদের। ওয়ারিশনরা একা জমি বিক্রি করতে পারে না এবং করিম জায়গা ক্রয় করার সময় আমাদেরকে ও অবহিত করেনি। ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনাকর পরিবেশ বিরাজ করছে। যে কোন সময় অপ্রতিকর ঘটনার আশংকা করছেন স্থানীয় নাগরিকরা। তাই শ্রীঘই প্রসাশনের হস্তক্ষেপের আহবান জানিয়েন আতংকিত এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দাল হোসেন বলেন, খলিল ও তার মা বাবাকে একাধিকবার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অবহিত করলেও সে আসে না। তাই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে করিমের পরিবারকে আইনের আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।