ধলাই ডেস্ক: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে চা বাগানে এক ইউপি সদস্যের বাড়িতে ডাকাতি করতে গিয়ে জনতার পিটুনিতে আলাল মিয়া নামে এক ডাকাতের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় পিটুনিতে আরো দুই ডাকাত গুরুতর আহত হন। আহত দুজন হলেন-ইসলামপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেন এর ছেলে আব্দুল মালেক ওরফে প্রকাশ মালেক (৪১) ও শ্রাবণ মিয়ার ছেলে জসিম মিয়া। তারা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত ৪টার দিকে উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের নুরজাহান চা বাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ডাকাতের বাড়ি সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে ইউপি সদস্য সালেহ আহমদের বাড়িতে ১০-১৫ জনের একদল ডাকাত হানা দেয়। এ সময় ডাকাতদের উপস্থিতি টের পেয়ে চা বাগানের পাগলা ঘণ্টা বাজালে চা শ্রমিকরা ডাকাতদের ঘেরাও করেন। সে সময় ডাকাতরা স্থানীয় জনতার ওপর হামলা করতে এগিয়ে গেলে স্থানীয়রা তাদের ধরে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলে এক ডাকাতের মৃত্যু হয়। বাকিরা পালিয়ে গেলে রবিবার ভোরে রক্তের ছাপ দেখে চা বাগানের ভেতর থেকে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য ইসলামপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেন এর ছেলে আব্দুল মালেক ওরফে প্রকাশ মালেক (৪১) তীরবিদ্ধ অবস্থায় আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
অপরদিকে পুলিশ জানায়, রবিবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে আসা বাকি ডাকাত সদস্যরা মাধবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আসিদ আলির ভাতিজা সেজুল মিয়ার বাড়িতে অবস্থান করছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে কমলগঞ্জ থানার এএসআই হামিদুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান চালালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে গেলেও সেজুল মিয়াকে আটক করে পুলিশ। পরে সকাল ৯টায় কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ফুলবাড়ি চা বাগানের সেকশন থেকে হাতের কব্জি কাটা অবস্থায় শ্রীপুর গ্রামের শ্রাবণ মিয়ার ছেলে জসিম মিয়াকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে স্থানীয় চা শ্রমিকরা।
কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শামীম আখনজি একজন ডাকাতের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘স্থানীয়দের কাছ থেকে দুই ডাকাতকে গুরুতর আহত উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এ ছাড়া বাকি অজ্ঞতনামা ডাকাতের নাম পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’