ঢাকা, ১০ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কমলগঞ্জে ইউপি সদস্যের সংবাদ সম্মেলন! সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারের নিন্দা

প্রকাশিত: ৫:৩১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১০, ২০২৫

ধলাই ডেস্ক: বিএনপি করার কারনে বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে অপহরণ ও বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় হয়রানি হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্য। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তাকে আওয়ামী দোসর হিসাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

সোমবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১২টায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাঘমারায় নিজ এলাকায় সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল মতিন ।

লিখিত বক্তব্যে ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল মতিন বলেন, আমি কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের টানা তিনবারের নির্বাচিত ইউপি সদস্য এবং দীর্ঘদিন ধরে যুবদল ও বিএনপি’র একনিষ্ঠ কর্মী। বিএনপি’র রাজনীতি করার কারনে মারধরের শিকার হতে হয়েছি এবং আওয়ামী শাসনামলে মৌলভীবাজারসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আমার নামে রাজনৈতিক মামলা করা হয়। তাছাড়া ২০০৯ সনে রাতে ভানুগাছ বাজার থেকে বাড়ি আসার পথে সন্ত্রাসীরা আমাকে তুলে নিয়ে আমার হাত-পা ভেঙে রেল লাইনের পাশে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে যায়। পথচারীরা আমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন।

২০১৩ সনে ১৭ ডিসেম্বর বিকেলে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পথে পেছন থেকে অজ্ঞাতধারীরা আমার মাথায় দা দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। পরে প্লাস দিয়ে আমার হাতের নক তুলে ফেলে। আমার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি ভেঙে চুরমার করা হয়। পরে তারা আমাকে মৃত ভেবে রাস্তায় ফেলে চলে যায়। আমি সিলেট ওসমানী হাসপাতালে দেড় মাস চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরি। পরে মামলা করলেও আমাকে উল্টো হত্যার হুমকি দেয়া হয়। আমি বিএনপির রাজনীতির করি বলে ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি সদস্য হওয়ায় আমার এলাকার কোনো উন্নয়নমূলক কাজ করতে দেওয়া হয়নি।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী শাসনামলে আমি ও আমার পরিবারের জীবন রক্ষা করতে গিয়ে আমি আওয়ামী লীগের একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করতে বাধ্য হই। এসময় কয়েকজন আওয়ামী নেতার গলায় মালা প্রদানে আমাকে বাধ্য করা হয়। এজন্য আমি আমার আদর্শ থেকে বদলাইনি। এটা ছিল বেঁচে থাকার প্রয়াস। আমার বিষয়গুলো স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীসহ অনেকেই জানেন।
বর্তমানে একটি কুচক্রী মহল কিছু ভুয়া আইডি থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাকে তরুণলীগ বলে প্রচার করছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় তরুণ লীগের ২০১৮ সালের প্যাডে মতিন নামে কোন এক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়েছে সেটা আমার জানা নেই। তারা মিথ্যে ও অপপ্রচারের মাধ্যমে আমাকে তরুণ লীগ বলে প্রচার চালায়। সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে উদ্দেশ্য প্রণোদিত এসব মিথ্যা অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জাফর মো. মাহফুজুল কবির বলেন, অভিযোগ না থাকলে পুলিশ কাউকে হয়রানি করেনা। পুলিশ কাউকে মিথ্যা ভাবে হয়রানি করে না। পুলিশ সব সময় সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিয়ে আসছে।

  • এই বিভাগের সর্বশেষ